[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

ইলা মিত্রের জন্মশতবর্ষে স্মরণ- শ্রদ্ধা

প্রকাশঃ
অ+ অ-
তেভাগা আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেত্রী ইলা মিত্রের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সাঁওতালেরা সাজগোজ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে আসেন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

‘হেঁই সামালো ধান হো/ কাস্তে দাও শান হো...।’ গতকাল শুক্রবার থেকে ফেসবুকে এই স্লোগান লিখিত ফটোকার্ড ছড়িয়ে পড়ছে। এতে ইলা মিত্রের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। ফটোকার্ডের ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা-কালো, লাল অংশে লেখা আছে স্লোগানের প্রথম অংশ, বাকি অংশ লেখা আছে সাদা ছবির ওপর।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সেলিম রেজা নিউটন ফটোকার্ডটির শিরোনাম দিয়েছেন সেলিনা হোসেনের ‘কাঁটাতারে প্রজাপতি’ উপন্যাসের নাম দিয়ে—‘ইলা মিত্র: কাঁটাতারে প্রজাপতি’। মূল কার্ডটি তৈরি করেছেন এম আসলাম লিটন।

এসব আয়োজনই দেখাচ্ছে যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দোলনের নেত্রী ইলা মিত্রের জন্মশতবার্ষিকী এসেছে। আজ শনিবার ১৮ অক্টোবর শোষিত ও নিপীড়িত সাঁওতাল কৃষকদের রানিমাখ্যাত বিপ্লবী ইলা মিত্রের জন্মের শতবর্ষ পূর্ণ হলো।

১৯২৫ সালের ১৮ অক্টোবর ইলা মিত্রের জন্ম কলকাতায়। বাবা গগেন্দ্রনাথ সেন ছিলেন ব্রিটিশ সরকারের অধীন বাংলার অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেল। তাঁদের আদিনিবাস ছিল ঝিনাইদহের শৈলকুপার বাগুটিয়া গ্রামে। ইলা মিত্র ১৯৪৪ সালে কলকাতার বেথুন কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি নেন।

জন্মশতবার্ষিকীতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে তেভাগা আন্দোলনের নেত্রী ইলা মিত্রের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন পরিষদ গঠন করা হয়েছে। তারা শোভাযাত্রা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও বাঙালি কৃষক সমাবেশের আয়োজন করেছেন। সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের ফায়ার সার্ভিস মোড় থেকে শোভাযাত্রা শুরু হবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর পার্কে সমাবেশেরও আয়োজন আছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের ফায়ার সার্ভিস মোড় থেকে সকাল সাড়ে ১০টায় শোভাযাত্রা বের হয় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

১৯৯৬ সালের ৭ নভেম্বর রাজশাহীর ভুবনমোহন পার্কে ইলা মিত্রকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। সেখানে থেকে তিনি নাচোলের কৃষক সমাবেশে গিয়েছিলেন। সেদিনের খবর কভার করতে সংবাদের তৎকালীন সাংবাদিক ও নাট্যকার মলয় ভৌমিক নাচোলে গিয়েছিলেন। জন্মশতবর্ষের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেদিন সাঁওতাল কৃষকেরা রানিমাকে দেখার জন্য নতুন জামাকাপড় পরেছিলেন।

মলয় ভৌমিক বলেন, সেটি ছিল বিশাল সমাবেশ। তাঁর মনে আছে, সেই সমাবেশের ছবি সংবাদের শেষ পৃষ্ঠায় ইলা মিত্রের ছবির পাশে বড় করে প্রকাশিত হয়েছিল। তিনি ইলা মিত্রের আদিনিবাস দেখতে ঝিনাইদহের বাগুটিয়া গ্রামে গিয়েছিলেন। শৈলকুপা থেকে স্থানীয়রা সহজেই ইলা মিত্রের বাড়ির ঠিকানা বলতে পারতেন। বাড়িটি এখনও আছে, তবে সেখানে এখন অন্যরা বাস করেন।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন