[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের অবস্থান

প্রকাশঃ
অ+ অ-

প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির চূড়ান্ত অধ্যাদেশ জারির দাবিতে রাজধানীর শিক্ষা ভবনসংলগ্ন রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

ঢাকার সাতটি বড় সরকারি কলেজ একীভূত করে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির চূড়ান্ত অধ্যাদেশ জারির দাবিতে আজ সোমবার রাজধানীর শিক্ষা ভবন সংলগ্ন রাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন ওই কলেজের কয়েক শত শিক্ষার্থী। তারা বলেছেন, অধ্যাদেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত তারা রাস্তা ছাড়বেন না।

এদিকে, এই কর্মসূচি ঠেকাতে পুলিশ সচিবালয় অভিমুখে ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে ওই পথে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন ২০২৫ খসড়া হালনাগাদ করে দ্রুত চূড়ান্ত অধ্যাদেশ জারির দাবিতে শিক্ষা ভবনের সামনে বিক্ষোভ করছেন ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত রোববার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, খসড়া অধ্যাদেশ নিয়ে ছয় হাজারের বেশি মতামত এসেছে। এখন এগুলো একত্র করে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এরপর শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ ও শিক্ষাসংক্রান্ত সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ধারাবাহিক পরামর্শ সভা হবে।

২০১৭ সালে ঢাকার বড় সাতটি সরকারি কলেজকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছিল। তখন থেকেই সমস্যা শুরু হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে আবার সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা করার ঘোষণা আসে। কিন্তু নতুন বিশ্ববিদ্যালয় চূড়ান্ত করার আগে অধিভুক্তি বাতিল হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যায়। বর্তমানে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষকে প্রশাসক করে সাত কলেজের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। কলেজগুলো এখন নতুন সংকটের মুখোমুখি। সরকারি সাত কলেজ হলো—ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বাঙলা কলেজ ও তিতুমীর কলেজ।

সরকার এসব কলেজ একত্র করে নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় করতে চাচ্ছে। প্রস্তাবিত কাঠামো নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অবস্থান ভিন্ন। কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা কলেজ বজায় রাখার দাবি জানাচ্ছেন। ইডেন কলেজের অনেক ছাত্রী প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় চান না। তাই তারা খসড়া অধ্যাদেশ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের খসড়া প্রকাশ করে এবং ৯ অক্টোবর পর্যন্ত মতামত নেওয়া হয়। নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হবে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’। সাত কলেজ হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠকেন্দ্র। প্রতিটি ক্যাম্পাসে আলাদা বিষয় পড়ানো হবে, আর বিষয়ও কমে যাবে। খসড়া প্রকাশের পর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের অনেক শিক্ষার্থীও প্রস্তাবিত কাঠামোর বিপক্ষে। যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় চান, তাঁরা দ্রুত অধ্যাদেশ চাইছেন। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় আশা করছে, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সবার মতামত প্রতিফলিত হবে। অংশগ্রহণকারীদের গঠনমূলক ও প্রতিনিধিত্বশীল মতামতের ভিত্তিতে খসড়া পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ শেষে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষাব্যবস্থার সর্বোত্তম কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে বাস্তবসম্মত অধ্যাদেশ প্রণয়ন করা হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন