বগুড়ায় ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড নিয়ে দুই শিক্ষকের মারামারি, ডাকা হলো পুলিশ
![]() |
| শেরপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় | ছবি: বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া |
বগুড়ার শেরপুরে একটি বিদ্যালয়ে ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড না দেওয়ায় দুই শিক্ষকের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। রোববার বেলা একটার দিকে শেরপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি শান্ত করতে বিদ্যালয়ে পুলিশ ডাকা হয়।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ সাহেব আলী ও ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর মাহমুদুল হাসানের মধ্যে এই মারামারি ঘটে। ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড না দেওয়ায় প্রথমে মাহমুদুলকে মারধর করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। পরে মাহমুদুলের পক্ষে কয়েকজন শিক্ষক সাহেব আলীকে মারধর করেন। এতে সাহেব আলী আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামনে মারামারির কারণে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে শ্রেণিকক্ষে ক্লাস না করে বাড়িতে চলে যায়। সহকারী প্রধান শিক্ষক মোজাফফর আলী জানান, দুই শিক্ষকের মধ্যে এবং কয়েকজনের উপস্থিতিতে বিদ্যালয় চত্বরে মারামারি হয়, যাতে দুজন শিক্ষক আহত হন।
চিকিৎসাধীন সহকারী শিক্ষক সাহেব আলী বলেন, 'বিদ্যালয়ের ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড পরিবর্তন হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে তিনি ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর মাহমুদুল হাসানের কাছে পাসওয়ার্ড চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি পাসওয়ার্ড না দিয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকের কক্ষে মারধর করেন। পরে মাহমুদুল তাঁর নিকটাত্মীয়দের ডেকে এনে শ্রেণিকক্ষের সামনে আবার মারধর করেন।'
অভিযোগের বিষয়ে মাহমুদুল হাসান বলেন, 'প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে তিনি পাসওয়ার্ড বসিয়েছিলেন। প্রধান শিক্ষকের অনুমতি ছাড়া তিনি পাসওয়ার্ড দিতে রাজি না হওয়ায় সাহেব আলী তাঁর ওপর চড়াও হয়ে মারধর করেন। এরপর তাঁর ভাই বিদ্যালয়ে এসে সহায়তা করেন। বহিরাগত বলে যা বলা হচ্ছে, তা সঠিক নয়।'
প্রধান শিক্ষক আবু সাঈদ শেখ বলেন, 'ঘটনা ঘটার পর পুলিশ বিদ্যালয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়টি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে জানানো হয়েছে।'
শেরপুর থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দীন জানান, 'পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পর পুলিশ বিদ্যালয় থেকে ফিরে আসে। মারধরের বিষয়ে কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ দেননি। লিখিত অভিযোগ এলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments
Comments