[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

মানিকগঞ্জে দরজা ভেঙে এনজিও কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করল পুলিশ

প্রকাশঃ
অ+ অ-

মানিকগঞ্জ শহরে একটি ভাড়া বাসা থেকে সামায়েল হাসদা নামের এই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ | ছবি: সংগৃহীত

মানিকগঞ্জ শহরের পোড়রা এলাকার একটি বাসার কক্ষ থেকে সামায়েল হাসদা (৩০) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

সামায়েল হাসদার বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চান্দলাই গ্রামে। তিনি বেসরকারি গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান বারসিকের সহযোগী কর্মসূচি কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করতেন।

মানিকগঞ্জ সদর থানা–পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শহরের একটি বাসার কক্ষ ভাড়া নিয়ে একাই থাকতেন সামায়েল। গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে তিনি বাসায় ফেরেন। আজ মঙ্গলবার সকালেও কর্মস্থলে না যাওয়ায় তাঁর সহকর্মীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।

বেলা ১১টার দিকে সহকর্মী মো. নজরুল ইসলাম তাঁর খোঁজে বাসায় যান। ভেতর থেকে দরজা আটকানো থাকায় তিনি বাসার মালিককে ডাকেন। পরে মালিক সুলতান উদ্দিন ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। খবর পেয়ে বেলা একটার দিকে সদর থানার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। সেখানে খাটের ওপর সামায়েলের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

বেলা দুইটার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, পোড়রা এলাকার তিনতলা ভবনের নিচতলার কক্ষে খাটের ওপর মরদেহটি পড়ে আছে। সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুর রহমান সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করছেন।

মানিকগঞ্জ শহরের এই বাসা থেকে সামায়েল হাসদার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ দেখতে ওই বাসার সামনে ভিড় করেছেন স্থানীয় লোকজন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শহরের পোড়রা এলাকা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

সেখানে কথা হয় বাসার মালিক সুলতান উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, দুই বছর ধরে বাসার নিচতলার একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে সামায়েল একাই থাকতেন। গতকাল রাত ১০টার দিকে তিনি বাসায় ফেরেন।

বারসিকের কর্মসূচি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, সামায়েল কাজে খুব মনোযোগী ছিলেন। তিনি ভালো ফুটবলও খেলতেন।

সদর থানার এসআই আশরাফুর রহমান বলেন, কক্ষের টেবিলে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ পাওয়া গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন