[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিটের দরকার নেই, জাতির আছে: আসিফ নজরুল

প্রকাশঃ
অ+ অ-

হিউম্যান রাইটস কমিশন শক্তভাবে দাঁড় করাতে হবে বললেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘এখন সেফ এক্সিট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আমরা উপদেষ্টারা নিশ্চিতভাবে জানি, আমাদের কারও কোনো সেফ এক্সিটের প্রয়োজন নেই।’

শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘খসড়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ ২০২৫’ শীর্ষক জাতীয় পরামর্শ সভায় এই মন্তব্য করেন তিনি। আইন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এই সভা আয়োজন করা হয়।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের জাতি হিসেবে সেফ এক্সিটের প্রয়োজন আছে। গত ৫৫ বছর ধরে দুঃশাসন, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়েছে। এই ভয়াবহ রাষ্ট্রকাঠামো থেকে সেফ এক্সিট প্রয়োজন।’

আইন প্রণয়নের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা হয়তো ভালো কিছু আইন প্রণয়ন করছি। কিন্তু ভালো আইন মানেই দেশ ভালো হবে, এমনটা ভাবার সময় আমার নেই।’

তিনি প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতাও তুলে ধরেন। বলেন, ‘বাহাত্তরের সংবিধানের কিছু সমালোচনা আছে, তবে ভালো কিছু বিধানও ছিল। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি স্বাধীনভাবে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেবেন, যাতে রাজনৈতিক প্রভাব না থাকে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি; প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাতেই হয়েছে। এমন প্রধান বিচারপতিরা মানবাধিকার ধ্বংসে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন। দুর্ভাগ্যবশত, এমন বিচারপতিরা এখনো রয়েছেন। সরকার সংস্কারের কাজ করছেন।’

আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘ভালো আইন ফাউন্ডেশন, কিন্তু তার ওপর খারাপ ভবন বানিয়ে লাভ নেই। প্রতিষ্ঠানকে ভালো হতে হবে। সরকারে এসে মনে হয়েছে, সবকিছু ব্যক্তিকেন্দ্রিক বা প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক হয়ে গেছে।’

সভায় বক্তব্য দেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ।

সম্প্রতি এক টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘উপদেষ্টাদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে ফেলেছে। তারা নিজেদের সেফ এক্সিট নিয়ে ভাবছে।’ এ বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নানা আলোচনা ও সমালোচনা চলছে।

এ বিষয়ে উপদেষ্টারাও কথা বলেছেন। ৯ অক্টোবর ফেসবুকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান লিখেছেন, বাহাত্তরোর্ধ্ব বয়সে যদি সেফ এক্সিটের কথা ভাবতে হয়, তা তাঁর জন্য গভীর দুঃখের বিষয় হবে।

এর আগের দিন ৮ অক্টোবর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, উপদেষ্টাদের মধ্যে কারা সেফ এক্সিট নিতে চান, তা নাহিদ ইসলামকেই স্পষ্ট করতে হবে। তিনি যদি কখনো স্পষ্ট করেন, তখন সেটি নিয়ে সরকারের বক্তব্য আসে।

আজ আইন উপদেষ্টা এ বিষয়ে কথা বলেছেন। 

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন