[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

সেপ্টেম্বরে বাড়ল গণপিটুনি, ধর্ষণ-সংখ্যালঘু নির্যাতন

প্রকাশঃ
অ+ অ-

মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)

দেশে সেপ্টেম্বরে গণপিটুনিতে নিহতের সংখ্যা বেড়েছে। একই সময়ে বেড়েছে ধর্ষণের ঘটনা-সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা। আজ মঙ্গলবার মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর ও নিজেদের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে এমএসএফ এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা সমাজে আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। এতে নিহত ও আহতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে, যা নাগরিকদের নিরাপত্তাহীনতাকে আরও স্পষ্ট করে তুলছে। সরকারের নিষ্ক্রিয়তা এই সংকটকে গভীরতর করছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এমএসএফের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ সাইদুর রহমান বলেন, 'মব সন্ত্রাসের বিপরীতে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা ও উদাসীনতা চরমে পৌঁছেছে। অনেক ক্ষেত্রে সরকারের উসকানিও লক্ষ্য করা গেছে।' 

প্রতিবেদনে দেখা যায়, আগস্টে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছিল ২৩ জন। সেপ্টেম্বরে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে। এমএসএফের মতে, বিচারহীনতা ও মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ই এ ধরনের অপরাধকে বাড়িয়ে তুলছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি ঘটনার উদাহরণ দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুরির সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হওয়ার পর চার দিন পুলিশ হেফাজতে থাকার পর হাসপাতালে মারা যান এক যুবক। এটি দেখায়, সহিংসতা শুরু হয় গণপিটুনি দিয়ে, পরে তা রাষ্ট্রীয় হেফাজতেও গড়ায়।

প্রতিবেদনে নারী ও সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার উদ্বেগজনক চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে। আগস্টে ধর্ষণের ঘটনা ছিল ৪৭টি, সেপ্টেম্বরে বেড়ে হয়েছে ৫৩টি। এর মধ্যে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনা ১৩টি এবং ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে ৩টি।

অন্যদিকে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। সেপ্টেম্বরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে ২৯টি, যেখানে আগস্টে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া মাজার বা আখড়ায় হামলা ও অগ্নিসংযোগ হয়েছে ১৬টি। জাতিগত সংখ্যালঘুদের ১২টি ঘরবাড়ি ভাঙচুর বা অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভরত তিনজন সংখ্যালঘু যুবককে গুলি করে হত্যা করার ঘটনাও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

এমএসএফ মনে করে, গণপিটুনির মতো জঘন্য অপরাধ রুখতে দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করা জরুরি। একই সঙ্গে হেফাজতে মৃত্যু, ধর্ষণ ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের সব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অপরাধীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন