[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

জোর করে প্রকাশ্যে চুল কেটে দেওয়া ব্যক্তির মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত: আসক

প্রকাশঃ
অ+ অ-

ভুক্তভোগী মানুষটি শেষ দিকে বারবার বলছিলেন, ‘আল্লাহ তুই দেহিস।’ প্রকারান্তরে আল্লাহর কাছেই বিচার দিলেন তিনি ছবি: ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া আলোচিত ভিডিওতে দেখতে পাওয়া জোর করে চুল কেটে দেওয়ার এই ঘটনা চার মাস আগে ময়মনসিংহের কাশীগঞ্জ বাজারে ঘটে বলে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে

প্রকাশ্যে জোর করে চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। মানবাধিকার সংগঠনটির মতে, এ ধরনের আচরণ বেআইনি ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ব্যক্তির মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে আসক বলেছে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েকজন ব্যক্তি প্রকাশ্যে একজন পথচারীর চুল ও চুলের জট জোরপূর্বক কেটে দিচ্ছেন। এ ধরনের আচরণ সম্পূর্ণ অমানবিক, বেআইনি এবং সংবিধান ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

আসক বলছে, বাংলাদেশের সংবিধানের ৩১ নম্বর অনুচ্ছেদ প্রতিটি নাগরিককে আইনের আশ্রয়ে মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের অধিকার দিয়েছে। ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদ জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করেছে এবং ৩৫ নম্বর অনুচ্ছেদ কারও প্রতি নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ নিষিদ্ধ করেছে।

মানবাধিকার সংগঠনটি বলেছে, প্রকাশ্যে জোর করে চুল কেটে দেওয়া কেবল ভুক্তভোগীর মৌলিক অধিকার ও ব্যক্তিস্বাধীনতারই লঙ্ঘন নয়, বরং এটি তাঁর মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত। এ ধরনের ঘটনা সমাজে ভীতি, আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ সৃষ্টি করছে।

এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশে আইনের শাসন ও মানবাধিকারের পরিপন্থী উল্লেখ করে আসকের বিবৃতিতে বলা হয়, দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে আর কোনো নাগরিক এমন অবমাননাকর ও বেআইনি আচরণের শিকার যাতে না হন, রাষ্ট্রকে তা নিশ্চিত করতে হবে।

আরও পড়ুন

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন