ভাঙ্গায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিল, আন্দোলন স্থগিত শনিবার পর্যন্ত
![]() |
| সহিংস ঘটনার বিচারের দাবিতে শান্তিমিছিল করেছে উপজেলা বিএনপি। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ভাঙ্গা বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে সহিংস ঘটনার বিচারের দাবিতে শান্তিমিছিল করেছে উপজেলা বিএনপি। অন্যদিকে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়েছে এবং আগামী শনিবার পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভাঙ্গা বাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে বিএনপির মিছিলটি শুরু হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ভাঙ্গা এক্সপ্রেস দক্ষিণপাড়া হয়ে ভাঙ্গা বাজার বাসস্ট্যান্ডে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানে সমাবেশ করে বিএনপি।
সমাবেশে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী বলেন, ‘শুরু থেকেই বিএনপি এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল। বিষয়টি উচ্চ আদালতে যাওয়ার পর আমরা আন্দোলনে সক্রিয় না থাকলেও ফ্যাসিস্টদের দোসররা গতকাল ভাঙচুর করে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’
সৈয়দ মোদাররেস আলী বলেন, ‘আগে শুধু ভাঙ্গা উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর–৫ আসন ছিল। ২০০৮ সালে তৎকালীন ইসি (নির্বাচন কমিশন) ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসনকে একত্র করে ফরিদপুর–৪ আসন করে এবং সদরপুরের কৃষ্ণপুর ইউনিয়নকে ফরিদপুর–২ আসনে যুক্ত করে। তখন থেকেই ফরিদপুরের পাঁচটি আসন ফিরিয়ে আনার আন্দোলন চলছে। কিন্তু চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর বর্তমান ইসি ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে কেটে ফরিদপুর–২ আসনে যুক্ত করেছে। আমরা অভিন্ন ভাঙ্গা চাই এবং কেটে নেওয়া দুটি ইউনিয়ন ভাঙ্গায় ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাই। এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর শুনানি হবে। আশা করি, আমরা ন্যায়বিচার পাব।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব মোল্লা ও ভাঙ্গা বাজার শাখার এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক মো. আশরাফ।
জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে ও দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভোগান্তি এড়াতে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। আগামী শনিবার পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেছেন আন্দোলনকারীরা। তবে ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাঁদের ৫ দফা দাবি মেনে না নিলে আবার লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন