[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা বিরোধে টানা সাড়ে ৪ ঘণ্টা বিক্ষোভ

প্রকাশঃ
অ+ অ-
আজ শুক্রবার বাদ জুমা শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে তোলা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সাড়ে চার ঘণ্টা অবস্থান ও বিক্ষোভ করেছেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে দিনের কর্মসূচি শেষ করে শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দিয়েছেন, আজ শুক্রবার বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা।

কর্মসূচি ঘোষণার সময় আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আবু ইয়াকুব বলেন, ‘সব রাজনৈতিক স্টেকহোল্ডারদের পরামর্শক্রমে আজকের কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। কাল (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর সব অরাজনৈতিক-রাজনৈতিক স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে একসঙ্গে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।’

গতকাল প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১০টি শর্তে পোষ্য কোটা ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়। সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ভর্তি উপকমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উপাচার্যের দায়িত্বে নিযুক্ত সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন সভায় সভাপতিত্ব করেন। পরে রাত আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এই সিদ্ধান্তের আগাম খবর জানতে পেরে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাঁদের সঙ্গে একাত্মতা জানান।

গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বর থেকে একটি মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। পরে রাত পৌনে আটটার দিকে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডের পাশে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরসহ রাকসু নির্বাচনের বিভিন্ন প্রার্থী অংশ নেন। এ সময় তাঁরা ‘পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আবু সাঈদ, মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। আন্দোলনের এক পর্যায়ে রাত আটটার দিকে বৃষ্টি এলে শিক্ষার্থীরা ভিজেই আন্দোলন চালিয়ে যান।

গত ২ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পোষ্য কোটা বাতিল ঘোষণা করেন উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো পোষ্য কোটা থাকবে না বলে তিনি জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, আমি ১ শতাংশ পোষ্য কোটা রাখারও পক্ষে নই। আমি অঙ্গীকার করছি, এই পোষ্য কোটা রাখা হবে না। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষেই এটি বাস্তবায়ন করা হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি বাতিল ঘোষণা করা হবে।’

এরপর পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলনে নামেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রশাসনের আশ্বাসে তাঁরা কর্মসূচি স্থগিত করেছিলেন। সর্বশেষ গত বুধবার পোষ্য কোটা পুনর্বহালসহ তিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়। দাবি না মানলে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন