কবি শ্বেতা শতাব্দী পাড়ি জমালেন অনন্তলোকে
![]() |
শ্বেতা শতাব্দী | ছবি: সংগৃহীত |
দুরারোগ্য ব্যাধি থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত তরুণ কবি শ্বেতা শতাব্দী আর নেই।
শুক্রবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৩৩ বছর।
শ্বেতার বড় বোন মন্দিরা শতাব্দী এষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, 'আমার মণি আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। আর আমাকে দিদি ডাকবে না।'
মন্দিরাকে ফোন করা হলে মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তিনি।
এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর শ্বেতাকে কেমোথেরাপির জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে তার লিভার ফেইলিওর হয়।
বাসাবোর বরদেশ্বরী কালীমন্দিরে শুক্রবার রাত ১টার দিকে শ্বেতার শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।
জামালপুরের মেয়ে শ্বেতার জন্ম ১৯৯২ সালে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। জন্ম থেকেই ‘বিটা থ্যালাসেমিয়া মেজর’ রোগের সঙ্গে শ্বেতার বসবাস। কয়েক বছর আগে থ্যালাসেমিয়ার সঙ্গে যোগ হয় লিভার ক্যান্সার। ব্যয়বহুল চিকিৎসা সামলাতে পরিবারকে পড়তে হয় সংকটে। কয়েক দফা সহায়তার উদ্যোগে চলে চিকিৎসা।
জটিল সময়েও লেখালেখি ছাড়েননি শ্বেতা। সবশেষ ২০২৫ সালের একুশে বইমেলায় তার কাব্যগ্রন্থ ‘হাওয়া ও হেমন্ত’ প্রকাশিত হয়। এর আগে প্রকাশ হয় তার লেখা কাব্যগ্রন্থ- ‘অনুসূর্যের গান’, ‘রোদের পথে ফেরা’, ‘ফিরে যাচ্ছে ফুল’, ‘আলাহিয়ার আয়না’ এবং ‘বিপরীত দুরবিনে’।
সৃজনশীল লেখালেখির জন্য তরুণ এই কবি পেয়েছেন ‘আয়েশা ফয়েজ সাহিত্য পুরস্কার’।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন