শ্যামলীতে আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, ককটেল বিস্ফোরণ, আটকদের ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা: পুলিশ
![]() |
রাজধানীর শ্যামলীতে আজ মঙ্গলবার সকালে ঝটিকা মিছিল করেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা | ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া |
রাজধানীর শ্যামলীর শিশুমেলার সামনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের একটি ঝটিকা মিছিলের সময় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এ সময় ছয়জনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে বলে শেরেবাংলা নগর থানার ওসি মো. ইমাউল হক জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ছয়জনকে আটক করা হলেও পাঁচজন সরাসরি জড়িত থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের নেতা বিন ইয়ামিনের অনুসারী।
ওসি ইমাউল হক বলেন, ঝটিকা মিছিল করতে আসা ব্যক্তিদের একটি অংশ এসেছিল পায়ে হেঁটে। আর একটি অংশ এসেছিল মোটরসাইকেলে করে। যাঁদের আটক করা হয়েছে, তাঁদের ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল একটি দল। পরে তাঁদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটরসাইকেল ও একটি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে থাকা একজন পুলিশ সদস্য বলেছেন, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শ্যামলীর শিশু মেলার মোড় থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে আগারগাঁওয়ের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় পুলিশ ৫-৬ জনকে আটক করে। এরপর পেছন থেকে আসা ২৫-৩০টি মোটরসাইকেল নিয়ে আওয়ামী লীগের আরেকটি দল কয়েকটি ককটেল ফাটিয়ে ধস্তাধস্তি করে আটকদের পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজ সকাল আটটার দিকে আওয়ামী লীগের পক্ষে স্লোগান দিয়ে শিশুমেলার সামনে কিছু লোক জড়ো হয়েছিলেন। তাঁরা সেখানে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানও দিয়েছিল। সেখানে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
জুলাই মাসের অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন। অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ড ও দমন-পীড়নের অভিযোগে দেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার বিচার চলছে। অন্তর্বর্তী সরকার দলের বিচারের জন্য আইনি কাঠামো তৈরি করেছে। বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচন কমিশন দলটির ভোটে অংশ নেওয়ার নিবন্ধন স্থগিত করেছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন