[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

‘সব দলই ভারতকে হারাতে পারে, বাংলাদেশেরও বিশ্বাস আছে’

প্রকাশঃ
অ+ অ-

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হেড কোচ ফিল সিমন্স | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

‘আপনি তাহলে ফাইনালের পরই হাসবেন?’—প্রশ্নটা শুনে ইতিবাচক উত্তরই দিলেন ফিল সিমন্স। কণ্ঠে আত্মবিশ্বাস, মুখে একটু মুচকি হাসি।

বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ যে একেবারেই হাসেন না, তা নয়। তবে মাঠে তাঁর মুখ বেশির ভাগ সময়ই থাকে গম্ভীর।

শ্রীলঙ্কাকে হারানোর পরও ছিলেন একই রকম। নির্লিপ্ত সেই চেহারার ছবিটা ছড়িয়ে পড়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচের আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে আসা সিমন্সের কাছেই সেই প্রসঙ্গ তোলা হয়।

সিমন্সের উত্তর শুনে বাংলাদেশের সমর্থকেরা স্বপ্ন দেখতে পারেন আরও বড় কিছুর, ‘আমি এমন একজন, যে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আমরা শুধু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ জিততে আসিনি। আমরা এসেছি চ্যাম্পিয়ন হতে। বাদ পড়লে বা চ্যাম্পিয়ন হলে তখনই আবেগ দেখা যাবে। তবে এখন আমার কাজ ড্রেসিংরুমে সবার পা মাটিতে রাখা।’

গ্রুপ পর্বে রানার্সআপ হয়ে এলেও সুপার ফোরে দারুণ শুরু করেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারানোর পর এখন তাদের হাতছানি দিচ্ছে এশিয়া কাপের ফাইনাল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে কঠিন প্রতিপক্ষ ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই জেতার পর সুপার ফোরেও তারা পাকিস্তানকে হারিয়েছে। ভারতকে কি হারানো সম্ভব?

সিমন্সের উত্তর, ‘সব দলেরই ভারতকে হারানোর সক্ষমতা আছে। খেলাটা হয় একটা নির্দিষ্ট দিনে। ভারত আগে কী করেছে, সেটা তখন কোনো কাজে আসে না। ম্যাচের দিন, ওই সাড়ে তিন ঘণ্টায় কী হলো—সেটাই আসল। আমরা আমাদের সেরাটা খেলব, ভারতের ভুলের অপেক্ষায় থাকব। এভাবেই ম্যাচ জেতা যায়।’

ভারতের বিপক্ষে কী করতে হবে, সেটা নিয়েও পরিষ্কার বক্তব্য কোচের, ‘হারানোর বিশ্বাস থাকতে হবে। আত্মবিশ্বাস আছে আমাদের। যদি সুযোগ আসে, কাজে লাগাতে হবে। সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেই ভারতের বিপক্ষে জেতা সম্ভব।’

অতীত রেকর্ডে ভারত অনেক এগিয়ে। শক্তিতেও তাদের নাগাল পাওয়া কঠিন। দুই দলের ১৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে শুধু একটিই। তবু সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ মানেই দর্শকদের মধ্যে বাড়তি উত্তেজনা।

এই ‘হাইপ’ নিয়ে সিমন্স বললেন, ‘সব ম্যাচেই হাইপ থাকে। বিশেষ করে ভারত যেহেতু এক নম্বর টি-টোয়েন্টি দল, তাঁদের বিপক্ষে তো থাকবেই। এটা থাকা উচিতও। আমরা এটা উপভোগ করি। প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি ম্যাচ উপভোগ করি। উপভোগ করো, সেরাটা দাও—   ম্যাচের আগে আমাদের ভাবনা এটাই।’

এশিয়া কাপের ফাইনাল এখন আর কল্পনা নয়, হাতের নাগালে। তবে তার আগে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটা যেন পাহাড়ে চড়ার মতো। সিমন্সের মুখে হাসি নেই, কিন্তু তাঁর কথায় আছে পাহাড় টপকে যাওয়ার সাহস। এখন দেখার, বাংলাদেশ দল সেই সাহসকে কতটা কাজে লাগাতে পারে।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন