[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না: ইসলামী আন্দোলনের আমির

প্রকাশঃ
অ+ অ-

ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র সমাবেশে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর সৈয়দ রেজাউল করিম | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন  

সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি (পিআর) ছাড়া আসন্ন জাতীয় নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর সৈয়দ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, দেশের প্রচলিত পদ্ধতির নির্বাচনে একদলীয় আধিপত্যের সৃষ্টি হয়।

আজ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগ চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ছাত্রসমাবেশে এ কথা বলেন সৈয়দ রেজাউল করিম।

প্রচলিত নির্বাচনব্যবস্থার সমালোচনা করে ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, এ দেশে বারবার দেখা গেছে দিনের ভোট রাতে বাক্সে ভরে দেওয়া হয়। নির্বাচনী এলাকায় পেশিশক্তি ও অর্থবিত্তের দাপটে সাধারণ মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে ভয় পান। তাঁর ভাষায়, এ ধরনের নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে শান্তি আসে না, বরং খুন-গুম, চাঁদাবাজি আর অর্থপাচার বেড়ে যায়।

সৈয়দ রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা আর সেই কালো টাকার দৌরাত্ম্য, পেশিশক্তির গুন্ডাদের তাণ্ডব এবং দিনের ভোট রাতে বাক্সে ভরে দেওয়ার নির্বাচন চাই না। এতে দেশ আবার সন্তানহারা হবে, টাকা বিদেশে পাচার হবে, সর্বত্র চাঁদাবাজি চলবে। এ ধরনের নির্বাচন আমরা চাই না, হতে দেওয়া হবে না।’

স্বাধীনতার পর থেকে দেশের রাজনৈতিক যাত্রাপথ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, ‘গত বছরের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে হাজারো মানুষ প্রাণ দিয়েছেন; অনেকে পঙ্গু হয়েছেন, চোখ হারিয়েছেন। তাঁদের লক্ষ্য ছিল বৈষম্যহীন ও সুন্দর একটি দেশ গড়া। কিন্তু সেই লক্ষ্য পূরণ হয়নি। বরং স্বার্থান্বেষী মহল এখনো দেশকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নানা নীলনকশা আঁকছে।’

পিআর পদ্ধতি চালুর যৌক্তিকতা তুলে ধরেন সৈয়দ রেজাউল করিম বলেন, বিশ্বের ৯১টি দেশে ইতিমধ্যেই পিআর পদ্ধতি চালু রয়েছে এবং কোনো দেশ তা বাতিল করেনি। বরং আরও নতুন নতুন দেশ এই প্রক্রিয়ায় যোগ দিচ্ছে।

ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, ‘আমাদের দেশে যে পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়, তাতে সংসদে সত্যিকারে জনগণের মতামত প্রতিফলিত হয় না। একদলীয় আধিপত্য সৃষ্টি হয়। কিন্তু পিআর পদ্ধতিতে ছোট-বড় সব দলের প্রতিনিধিত্ব থাকে। এতে সংসদ ভারসাম্যপূর্ণ হয় এবং গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটে।’

রেজাউল করিম মনে করেন, জনগণকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ দিলে তারাই বলে দেবে, তারা কোন পদ্ধতি চায়। সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের একটি জরিপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের ৭১ শতাংশ মানুষ পিআর পদ্ধতির পক্ষে মত দিয়েছেন।

সংস্কার ও বিচারের প্রশ্নে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ইসলামী আন্দোলনের আমির। তিনি বলেন, সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে নির্বাচনের আগে সংস্কার করবে এবং খুনিদের বিচার নিশ্চিত করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা হয়নি।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ছাত্র সমাবেশ থেকে সাত দফা দাবিসংবলিত ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়।

সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুরের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম, মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোসাদ্দেক বিল্লাহ, আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে শাহবাগ চত্বর থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত শোভাযাত্রা বের করা হয়। এ সময় ‘তুমি কে আমি কে, মৌলবাদ মৌলবাদ’, ‘যদি না হয় পিআর, ফিরে আসবে স্বৈরাচার’, ‘চাঁদাবাজ আর স্বৈরাচার, মিলেমিশে একাকার’ প্রভৃতি স্লোগান দেওয়া হয়।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন