{getBlock} $results={3} $label={ছবি} $type={headermagazine}

বিতর্কের পর এবার পটুয়াখালীর সেই পিপির আইনজীবী সনদ স্থগিত

প্রকাশঃ
অ+ অ-

 রুহুল আমিন শিকদার | ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীতে এক বিচারকের বাসায় টাকা পাঠানোর অভিযোগ ওঠার পর নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রুহুল আমিন সিকদারের আইনজীবী সনদ স্থগিত করা হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকা বার কাউন্সিলের সচিব (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ কামাল হোসেন সিকদার স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘একজন বিচারকে ঘুস সাধার ঘটনার প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই বার কাউন্সিল থেকে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রুহুল আমিনের আইনজীবী পদ স্থগিত করা হয়েছে। আজ অ্যাটর্নি জেনারেল ও বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে ঢাকার বার কাউন্সিলে আয়োজিত জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’

এর আগে গত বুধবার পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (সিনিয়র জেলা জজ) নীলুফার শিরিন পিপি রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে ‘ঘুষ সাধার’ অভিযোগ আনেন। ঢাকার বার কাউন্সিলের সচিবের কাছে পাঠানো চিঠিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।

লিখিত অভিযোগে বিচারক বলেন, বুধবার সকাল ৯টার দিকে তাঁর বাসার গৃহকর্মীর কাছে একটি লাল ব্যাগ দিয়ে যান সরকারি কৌঁসুলি রুহুল আমিনের একজন লোক। ওই ব্যক্তি ব্যাগটি তাঁকে (বিচারক) দিতে বলে যান। ব্যাগটি খোলার পর ভেতরে দুটি খাকি রঙের খাম পাওয়া যায়। একটিতে একটি মামলার যাবতীয় কাগজপত্র, অন্য খামে ৫০০ টাকার নোটের একটি বান্ডিল। তিনি টাকা গুনে দেখেননি। তবে অনুমানের ভিত্তিতে বোঝা যায়, এতে ৫০ হাজার টাকা আছে।

অভিযোগ ওঠার পর জেলা আইনজীবী সমিতি রুহুল আমিন সিকদারের সদস্যপদ সাময়িক স্থগিত করে। এ ছাড়া জামায়াতে তাঁর দলীয় পদও স্থগিত করা হয়েছে। রুহুল আমিন সিকদার জেলা আইনজীবী সমিতির জামায়াত ইউনিটের সদস্য ছিলেন।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন