[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

নিরাপত্তা দুর্বলতায় বিমানের চাকা-তেল চুরি

প্রকাশঃ
অ+ অ-

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ রানওয়েতে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজের চাকা ও তেল চুরির ঘটনায় তিন কর্মীকে চাকরিচ্যুত করা হলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সংরক্ষিত এলাকার ভেতরে কীভাবে চাকা চুরি হলো, তা নিয়েই চলছে আলোচনা। একই সঙ্গে শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিমানের তেল চুরির ঘটনাও ব্যাপক আলোচনায় এসেছে।

এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে—বিমানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা আসলেই কতটা কার্যকর।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (প্রশাসন) মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা আছে বলে মনে করি না। তবে এসব ঘটনা আমাদের আরও সতর্ক করেছে। সামনে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করব।’

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে জড়িত দুই কর্মীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ফৌজদারি মামলাও করা হবে।

জানা গেছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজে ব্যবহৃত ১০টি অব্যবহারযোগ্য চাকা চুরি করে দেশের একটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সকে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে ১৮ আগস্ট বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন বিমানের সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) মোশারেফ হোসেন।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়, ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় শাহজালালের হ্যাঙ্গার কমপ্লেক্সের পাশে থাকা নিলাম শেড থেকে ১০টি চাকা পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে জিজ্ঞাসাবাদে ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট সুপারভাইজার আরমান হোসেন ও স্টোর হেলপার সামসুল হক স্বীকার করেন, তারা চাকা দিয়েছেন এক বেসরকারি এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তাকে। তবে এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে কিছু জানানো হয়নি। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর ২১ আগস্ট তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়।

এদিকে, চট্টগ্রামে কর্মরত সিডিউলিং কর্মকর্তা গোলাম মো. আমানুল্লাহ হকের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ লাখ টাকার তেল চুরির অভিযোগ ওঠে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৯ আগস্ট তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। পরে তাকেও চাকরিচ্যুত করা হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমানের উড়োজাহাজগুলোতে নানা ত্রুটির অভিযোগ আগেই উঠেছে। তার ওপর চুরি-চামারির ঘটনা যুক্ত হওয়ায় বিমানের ভাবমূর্তি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

বেসরকারি বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞ খায়রুল কবির ভূঁইয়া বলেন, ‘স্পর্শকাতর জায়গা থেকে চাকা বা তেল চুরি হওয়া মানে নিরাপত্তায় বড় ধরনের ফাঁক আছে। বিমানের যন্ত্রাংশের দাম অনেক বেশি, তাই এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণে কঠোর নিরাপত্তা না থাকলে এমন ঘটনা ঘটতেই পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনের কাণ্ড শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বিমানের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। অপরাধীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা দরকার।’

বিমানের জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল মাসুদ খান বলেন, ‘বিমানে যখনই কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়। অপরাধীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হয় না।’

তিনি জানান, এসব ঘটনার পর বিমানের হ্যাঙ্গার এলাকায় আরও কড়াকড়ি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন