{getBlock} $results={3} $label={ছবি} $type={headermagazine}

রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর ৪৭টি ইউনিয়ন অতি উচ্চ পানিসংকটাপন্ন এলাকা

প্রকাশঃ
অ+ অ-

 পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় 

রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার মোট ২৫টি উপজেলার ৪৭টি ইউনিয়নকে অতি উচ্চ পানিসংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। একইভাবে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভাকে অতি উচ্চ পানিসংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

পানি আইন অনুযায়ী, এসব এলাকায় পানির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এবং সুপেয় পানি ও গৃহস্থালির কাজের জন্য প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে করণীয় আগামী এক মাসের মধ্যে চূড়ান্ত করবে একটি কমিটি।

রোববার বিকেলে ঢাকার গ্রিনরোডের ওয়ারপো ভবনের সম্মেলনকক্ষে জাতীয় পানিসম্পদ পরিষদের নির্বাহী কমিটির ১৮তম সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় জাতীয় পানিসম্পদ পরিষদের নির্বাহী কমিটির শিল্প খাতে পানি ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ‘পানি ব্যবস্থাপনা নীতি ২০২৫’–এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। সভায় পানির প্রাপ্যতা যাচাই করতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে প্রয়োজনীয় সমীক্ষা চালানোর সুপারিশ করা হয়। একই সঙ্গে ৫০ জেলায় ভূগর্ভস্থ পানির প্রাপ্যতা যাচাইয়ে যে কার্যক্রম চলমান, তা বাকি ১৪টি জেলাতে শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়।

এ ছাড়া আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দুটি জলাভূমি—টাঙ্গুয়ার হাওর ও হাকালুকি হাওরের জীববৈচিত্র্য ও বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পানি আইন, ২০১৩–এর ২২ ও ২৭ ধারার ক্ষমতাবলে প্রথমবারের মতো ‘হাওর প্রতিবেশ সুরক্ষা আদেশ’ জারির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই সুরক্ষা আদেশের অধীন হাওর দুটিতে পর্যটন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি কৃষি, মৎস্য ও বনায়ন খাতে করণীয় নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনের সিদ্ধান্ত ও গৃহীত হয়।

নির্বাহী কমিটির সভাপতি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব ফরিদা আখতার। এ ছাড়া পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোকাব্বির হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব রেজাউল মাকসুদ জাহিদীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও অন্যান্য সংস্থার প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন