প্রতিনিধি কক্সবাজার

কক্সবাজারে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশা চালকসহ ৫ জনের মৃত্যুর পর বিক্ষুব্ধ জনতা চট্টগ্রামগামী সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে রাখে। আজ বিকেল চারটায় রামুর রশিদনগর এলাকায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

কক্সবাজারের রামু উপজেলার রশিদনগর এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার চালক ও চার যাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা রেললাইন অবরোধ করেছে। এতে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে পড়েছে।

আজ শনিবার বেলা দুইটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুর্ঘটনাস্থল রশিদনগরের ধলিরছড়া রেলক্রসিংয়ে ট্রেনটি আটকে রাখে বিক্ষোভকারীরা। আটকে পড়া ট্রেনের যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসনের কর্মকর্তা, পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব ও সেনাবাহিনী সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।

এর আগে বেলা দেড়টার দিকে রামুর রশিদনগর রেলক্রসিংয়ে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী ট্রেনের ধাক্কার অটোরিকশার চালক ও চার যাত্রী নিহত হন। নিহত চারজনই একই পরিবারের সদস্য।

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৈয়বুর রহমান বলেন, বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের ধলিরছড়া রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে অটোরিকশার চালক হাবিব উল্লাহ (৫০), ভারুয়ালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ছাদকপাড়ার রেণু আরা (৪৫) ও তাঁর বোন আসমা আরা (১৩), রেণু আরার তিন বছর ও দেড় বছর বয়সী দুই ছেলে আশেক উল্লাহ ও আতা উল্লাহ নিহত হয়। ট্রেনের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত ব্যক্তিদের চেহারা বিকৃত হয়ে গেছে বলে ওসি জানিয়েছেন। লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

রশিদনগর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুল মালেক বলেন, দুপুরে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি ধলিরছড়া রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় ভারুয়াখালী থেকে রামুমুখী একটি যাত্রীবাহী অটোরিকশা রেলক্রসিং অতিক্রম করছিল। ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশাটি অনেক দূর ছিটকে পড়ে ও চালকসহ পাঁচজন নিহত হন।

আবদুল মালেক আরও বলেন, রামুর কালিরছড়া গ্রামে নিহত রেণু আরার শ্বশুরবাড়ি। অটোরিকশা নিয়ে রেণু আরা ছোট বোন আসমা ও দুই ছেলে নিয়ে বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি ফিরছিলেন। দুর্ঘটনার পরপর ট্রেনটি গন্তব্যে চলে গেলেও বিক্ষুব্ধ জনতা চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুর্ঘটনাস্থলে আটকে রেখেছে। এ সময় রেললাইনে উঠে চেকপোস্ট স্থাপনের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে করে জনতা।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আটকে রাখা ট্রেনটির যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও ট্রেনের সামনে জড়ো হওয়া লোকজনকে সরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।