বেনাপোল বন্দর দিয়ে চার মাস পর ভারতীয় চাল আমদানি

বেনাপোল স্থলন্দর  | ফাইল ছবি

দেশের বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চার মাস বন্ধ থাকার পর আবারও বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানিকারকরা আশা করছেন, এর ফলে বাজারে কিছুটা দাম কমবে। তবে শুল্কে কোনো ছাড় না থাকায় খুব বেশি চাল আসবে না।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টা পর্যন্ত ভারত থেকে ৯টি ট্রাকে মোট ৩১৫ মেট্রিক টন চাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে।

বেনাপোল বন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাজি মুসা করিম অ্যান্ড সন্সের স্বত্বাধিকারী আব্দুস সামাদ বলেন, 'গত মঙ্গলবার ভারতীয় ৯টি ট্রাক পেট্রাপোল বন্দরে অপেক্ষা করছিল। বৃহস্পতিবার সেগুলো বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। পেট্রাপোল বন্দরে আরও চালবোঝাই ট্রাক বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। বেনাপোল কাস্টমসে চালানের বিবরণ জমা দিয়ে ছাড়ের প্রক্রিয়া চলছে।' 

তিনি আরও জানান, 'দেশের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্য মন্ত্রণালয় বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি করতে ব্যবসায়ীদের আবেদন আহ্বান করেছে। চলতি বছরের ২৩ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন জমা দেওয়ার সময় ছিল। বেনাপোল বন্দরের কয়েকজন আমদানিকারক অনুমতি পেয়েছেন। অনুমতিপত্র পাওয়ার পর অনেকে এলসি খোলায় এগিয়েছেন এবং বৃহস্পতিবার সেই অনুযায়ী চাল বন্দর দিয়ে প্রবেশ করেছে। আরও কিছু ব্যবসায়ী ধাপে ধাপে এলসি খোলছে। ফলে আগামী রোববার থেকে আমদানি আরও বাড়তে পারে।' 

আব্দুস সামাদ আশা প্রকাশ করেছেন, 'চাল আমদানির ফলে দেশের বাজারে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত দাম কমে আসবে। ভালো মানের চিকন জাতের চাল ৬৭ থেকে ৭০ টাকায় এবং স্বর্ণা জাতের চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হবে।' 

বেনাপোল স্থলবন্দর সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান বলেন, 'চার মাস বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার থেকে আবার ভারতীয় চাল আমদানি শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে ৯ ট্রাকে ৩১৫ মেট্রিক টন চাল বন্দরে প্রবেশ করেছে। আরও অনেক ট্রাক বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।' 

বেনাপোল উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ জানান, 'চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল সর্বশেষ চাল আমদানি হয়েছিল। বৃহস্পতিবার থেকে পুনরায় আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানিকৃত চালের নমুনা সংগ্রহ করে দ্রুত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে, যাতে দ্রুত ছাড়ের ব্যবস্থা নেওয়া যায়।'