[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

নাফ নদী থেকে আরও ৭ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

প্রকাশঃ
অ+ অ-

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে বিজিবির টহল | ছবি: বিজিবির সৌজন্যে

মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সদস্যরা কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদী থেকে আবারও একটি মাছ ধরার ট্রলারসহ বাংলাদেশি সাত জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। তবে জেলেদের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি। সাগর থেকে মাছ ধরা শেষে টেকনাফ ফেরার পথে আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহপরীর দ্বীপের নাইক্ষ্যংদিয়া নামের এলাকায় এই অপহরণের ঘটনা ঘটে।

ট্রলারমালিক ও জেলেদের দাবি, গত তিন দিনে ৩৩ জন জেলে আরাকান আর্মির হাতে অপহরণের শিকার হয়েছেন। আর চলতি আগস্ট মাসের ৫ আগস্ট থেকে আজ পর্যন্ত ২০ দিনে ছয়টি ট্রলার-নৌকাসহ ৪০ জন জেলেকে ধরে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের কাউকে এখনো ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথের শাহপরীর দ্বীপের পূর্ব-দক্ষিণে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনাসংলগ্ন নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় বিজিবি ও কোস্টগার্ডের নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানান তাঁরা।

টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া ঘাট ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, ট্রলারটির মালিক টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরীপাড়ার বাসিন্দা আবদুল মোনাফের ছেলে উমর ছিদ্দিক। নৌযানটিতে সাতজন মাঝিমাল্লা ছিলেন বলে তিনি জানান। তবে জেলেদের নাম জানাতে পারেননি তিনি।

ওই ট্রলারের মাঝি এবাদুল্লাহর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয়েছে বলে জানান আবুল কালাম। তিনি বলেন, সাগরে মাছ শিকার শেষে টেকনাফে ফেরার পথে শাহপরীর দ্বীপের পূর্ব-দক্ষিণে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনাসংলগ্ন নাইক্ষ্যংদিয়ায় পৌঁছালে আরাকান আর্মির সদস্যরা স্পিডবোটে জেলেদের ধাওয়া করে আটক করেন। ধাওয়া করার সময় মুঠোফোনে ফোনে বিষয়টি আবুল কালামকে জানিয়েছেন ট্রলারের মাঝি এবাদুল্লাহ। এরপর ট্রলারসহ তাঁদের মিয়ানমারের ফাতংজা খালের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে জানতে কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের কমান্ডার ও টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে আরাকান আর্মির সদস্যরা বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ শিকার শেষে ফেরার পথে বাংলাদেশি ট্রলারসহ জেলেদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। গত তিন দিনে চারটি ট্রলারসহ ৩৩ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। ওই এলাকায় আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে আজ এই পর্যন্ত নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে আরাকান আর্মি ২৪৪ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। এর মধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় কয়েক দফায় ১৮৯ জন জেলে এবং ২৭টি ট্রলার-নৌকা ফেরত আনা হয়েছে।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন