প্রতিনিধি কুমিল্লা
![]() |
কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার আসামিদের আজ বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে পুলিশ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
কুমিল্লার মুরাদনগরে আলোচিত ধর্ষণ মামলায় চার আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মমিনুল হক শুনানি শেষে এ বিষয়ে আদেশ দেন।
এর আগে গত সোমবার গ্রেপ্তার চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। পরে আদালত আজ রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করেন। আজ শুনানির সময় চার আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লা আদালত পুলিশের পরিদর্শক সাদিকুর রহমান বলেন, আসামিরা মুরাদনগর থানায় দায়ের হওয়া নারী নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় কারাগারে ছিলেন। আজ শুনানি শেষে আদালত তাঁদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুরাদনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমীন বলেন, ‘মামলাটি আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। আশা করছি, আগামী শনিবারের মধ্যে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হবে। আজ রিমান্ড শুনানি শেষে আসামিদের আবার কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
নতুন করে কেউ গ্রেপ্তার না হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এসআই রুহুল আমীন বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে যাঁদের শনাক্ত করেছি, তাঁরা এলাকা থেকে পলাতক। তবে তাঁদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এই চার আসামির জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে তাঁদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে জড়িত সবাই আইনের আওতায় আসবেন।’
গত ২৬ জুন দিবাগত রাতে মুরাদনগর উপজেলার একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ফজর আলী নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ধর্ষণের বিষয়টি টের পেয়ে আশপাশ থেকে কিছু লোক এসে ফজর আলীকে পেটাতে থাকেন। এ সময় ওই নারীকেও বিবস্ত্র অবস্থায় মারধর করেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরই মধ্যে ধর্ষণ ও বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে। দুই মামলায় ফজর আলীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অসুস্থ ফজর আলী পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।