বিনোদন ডেস্ক
![]() |
শান্তা পাল | ছবি: ফেসবুক |
কলকাতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন বাংলাদেশি মডেল-অভিনেত্রী শান্তা পাল। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টিভি৯ বাংলা জানিয়েছে, ২৮ জুলাই যাদবপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বুধবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়। ৮ আগস্ট পর্যন্ত তাঁকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন আদালত। শান্তার কাছে ভারতীয় আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও রেশন কার্ড পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। তবে এসব তাঁর কাছে কীভাবে এল, সেগুলো কি আদৌ বৈধ? তা নিয়েই শুরু হয়েছে তদন্ত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ২০২৩ সাল থেকে যাদবপুরের বিজয়গড়ে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন শান্তা। তবে বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন ঠিকানা দিতেন তিনি। ভারতীয় বিভিন্ন নথি ছাড়াও বাংলাদেশের একাধিক পাসপোর্ট এবং একটি এয়ারলাইনসের পরিচয়পত্র, এসএসএসি পরীক্ষার প্রবেশপত্রও মিলেছে তাঁর কাছে।
পুলিশ জানিয়েছে, কোনো ভিসা দেখাতে পারেননি শান্তা। ২০২৩ সালে ভিসা নিয়ে ভারতে গিয়েছিলেন তিনি, সেই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে। এরপর নতুন করে আর ভিসা বানাননি তিনি। শুধু তা–ই নয়, পাসপোর্টের মেয়াদও শেষ হয়েছে চলতি বছরে।
পুলিশ জানিয়েছে, শান্তার কাছে দুটি আধার কার্ড পাওয়া গেছে, যার মধ্যে একটি কলকাতার এবং অন্যটি বর্ধমানের ঠিকানার। ২০২০ সালে তাঁর নামে বর্ধমানের ঠিকানার আধার নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই সমস্ত নথি কীভাবে তাঁর কাছে এল, এ নিয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি শান্তা। তবে তিনি পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, কলকাতায় একটি স্টার্টআপ করার পরিকল্পনা ছিল তাঁর।
‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ’ ছবি দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয়েছিল শান্তার। এ ছাড়া ‘ইয়েরালাভা’ নামে একটি তামিল ছবিতে তাঁর অভিনয়ের কথা শোনা গিয়েছিল। অভিনয় ছাড়া অনুষ্ঠান সঞ্চালনাও করতেন শান্তা।