নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা

লোগোটি জামায়াতে ইসলামীর টুইটার হ্যান্ডেল থেকে নেওয়া

দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার প্রজ্ঞাপন জারির পরদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন দাবি করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সেই সঙ্গে সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি, প্রবাসীদের ভোটসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের অবস্থান আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে দলটি।

বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদল। এ বৈঠকে দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ও অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার উপস্থিত ছিলেন। নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক পুনর্বহালের পর এটি জামায়াতের পক্ষ থেকে প্রথম কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠক।

বৈঠক শেষে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘আমাদের আজকের ইস্যু ছিল লোকাল গভর্নমেন্ট ইলেকশন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার, কেয়ারটেকার সরকার, অন্তর্বর্তী সরকার—যে ফর্মে সরকার থাকুক না কেন, একটি সরকার কিন্তু আছে। সেই সরকারে অধীনে যদি লোকাল গভর্নমেন্ট ইলেকশন হয়, তাহলে এটা অনেক বেশি সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য হবে।’

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের দাবি করে জামায়াত নেতা হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘ন্যাশনাল ইলেকশন সামনে হবে। আমাদের দাবি, ন্যাশনাল ইলেকশনের আগে লোকাল গভর্নমেন্ট ইলেকশন করা।’

ইসির সঙ্গে বৈঠকে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে (পিআর) ভোটের বিষয়ে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পিআর পদ্ধতি হচ্ছে সুন্দর পদ্ধতি। ইসির কাছে আমরা আনুষ্ঠানিক বৈঠকের মধ্য দিয়ে এ দাবি উত্থাপন করেছি।’

পুরোনো প্রতীকসহ দলের নিবন্ধন ফেরত পাওয়াকে ‘কেড়ে নেওয়া অধিকার ফিরে’ পাওয়া বলে মন্তব্য করেন জামায়াতের এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল। তিনি বলেন, ‘প্রতীকসহ নিবন্ধন পুনর্বহাল করায় নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে। অন্যায়, অবিচার ধামাচাপা দিয়ে জোরপূর্বক রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ন্যায়কে চাপিয়ে রাখা যায় না। বিগত সরকারের আমলে একেবারে অন্যায়ভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করা হয়; পরবর্তী সময়ে দাঁড়িপাল্লা দলীয় প্রতীকও কেড়ে নেওয়া হয়। চরম অন্যায় করা হয়েছিল। আমাদের অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। গতকালের গেজেট আমাদের সেই অধিকার আদালতের আদেশের মাধ্যমে ফিরে এসেছে এবং দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়েছে।’

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রয়েছে কি না, জানতে চাইলে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি ইলেকশন কমিশন, সরকার সবকিছু আমরা অবজার্ভ করে চলেছি। সুতরাং, এই জায়গায় আস্থা-অনাস্থার বিষয়টা নিয়ে আমরা এখনই মন্তব্য করছি না। আমরা অবজার্ভ করছি এবং এ পর্যন্ত যে জায়গায় সঠিক কাজ করেছে, আমরা সেটা সঠিক বলব। কালোকে কালো, সাদাকে সাদা বলব। যদি ব্যত্যয় ঘটে, সে জায়গায় কথা বলতে হবে। এ জন্য আমরা অবজার্ভ করছি। আমরা আশাবাদী তারা ভবিষ্যতে জন-আস্থাকে সামনে রেখে এগিয়ে যাবে।’