প্রতিনিধি রাজশাহী

রাজশাহী মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী মো. মোবাশ্বের আলী (বাঁয়ে) এবং জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মো. রাশেদুল ইসলাম | ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী জেলা ও মহানগরে জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার রাতে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের যৌথ স্বাক্ষরে তিন মাসের জন্য অথবা আহ্বায়ক কমিটি গঠনের আগপর্যন্ত এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

কমিটিতে রাজশাহী মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে পদ পেয়েছেন ব্যবসায়ী মো. মোবাশ্বের আলী। তাঁর বাড়ি পবা উপজেলার খড়খড়ি এলাকায়। জেলার প্রধান সমন্বয়কারীর পদ পেয়েছেন মো. রাশেদুল ইসলাম। তাঁর বাড়ি পবা উপজেলার নওহাটায়। তিনি রেস্তোরাঁ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

কমিটির মহানগরের প্রধান সমন্বয়ক ইসলামী ছাত্রশিবির ও জামায়াতে ইসলামী রাজনীতির সঙ্গে ছিলেন। আর জেলার সমন্বয়কারী বিএনপির রাজনীতি সঙ্গে ছিলেন এক সময়। দুজনই গত ১৩ জানুয়ারি ঘোষিত জাতীয় নাগরিক কমিটির বোয়ালিয়া মডেল থানা কমিটির প্রতিনিধি কমিটির সদস্য ছিলেন।

রাজশাহী মহানগরে ঘোষিত ১৮ সদস্যের কমিটির মধ্যে যুগ্ম সমন্বয়কারী রাখা হয়েছে তিনজনকে। তাঁরা হলেন মো. আশরারুল ইমাম, সারওয়ারুল হক ও মাহফুজুর রহমান। অন্য ১৪ জন সদস্য। তাঁরা হলেন নাজমুল হক, ফুয়াদ সোনম, ইব্রাহীম হোসেন, মোবাশ্বের হোসেন, ফাহাবির চৌধুরী, উরশী মাহফিলা ফাতেহা, রথিন কুমার সরকার, নাহিদ আক্তার, মোফাচ্ছিরুল ইসলাম, সালাউদ্দীন, রাসেল আহমেদ, মীর মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, মাহফুজুর রহমান, পরিমল চন্দ্র উরাও।

২৫ সদস্যের জেলা কমিটিতে যুগ্ম সমন্বয়কারী পাঁচজন আর সদস্য ১৯ জন। যুগ্ম সমন্বয়কারীরা হলেন নাহিদুল ইসলাম, মো. সাইফুল ইসলাম, শামীমা সুলতানা, আতাউর রহমান, ফিরোজ আলম। সদস্যরা হলেন মো. মিজানুর রহমান, ইমরান হাসান, অবসরপ্রাপ্ত করপোরাল সাইফুল ইসলাম, আব্দুল হালিম, মো. আবু সাঈদ, জান্নাতুল ফেরদৌস, মো. মাসুদ রানা, আব্দুল বারী, খালিদ হাসান, রাকিবুল ইসলাম, মো. ইফফাত উদ্দিন, প্রভাষক মতিউর রহমান, মনিরুল ইসলাম, ফারহানা সুলতানা, রানা হেমব্রেম, মো. মহিউদ্দিন, শান্তা ইসলাম, আসাদুজ্জামান, মোখলেসুর রহমান।

জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলাম বলেন, তিনি ২০১১-১২ ও ১৩ সালের দিকে রাজপাড়া এলাকায় মহিষবাথান এলাকায় থাকতেন। তখন তিনি বিএনপির রাজনীতি করতেন। তবে কোনো পদপদবি ছিল না। পরে চাকরির পড়াশোনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এ কারণে আর রাজনীতিতে সক্রিয় হতে পারেননি। তিনি বলেন, তাঁরা কয়েক মাসের জন্য দায়িত্বে এসেছেন। আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে দায়িত্ব ছাড়বেন।

মহানগরের সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলী বলেন, তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে ছিলেন। তবে কোনো পদে ছিলেন না। পরের দিকে তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গেও ছিলেন। সেখানেও কোনো পদ ছিল না। তিনি বলেন, ‘আমি বলতে পারেন কর্মী ছিলাম। আবার বলতে পারেন সমর্থক বা শুভাকাঙ্ক্ষী ছিলাম। তবে কোনো জায়গাতে কোনো পদে ছিলাম না। জুলাই আন্দোলনে শুরু থেকেই ছিলাম। আমরা চাই বাংলাদেশের রাজনীতির সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে। সেই পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেই এনসিপিতে আসা।’