প্রতিনিধি নাটোর
![]() |
নাটোরে মহাসড়কের পাশের জঙ্গল থেকে মিনহাজ হোসেন নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় শিশু মিনহাজকে হত্যার অভিযোগে তার এক বন্ধুকে (১২) আটক করেছে পুলিশ। শিশুটির বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, মুঠোফোনে টিকটক ভিডিও দেখতে না দেওয়ায় ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে মিনহাজকে হত্যা করা হয়। হারানো মুঠোফোনটি আটক শিশুর হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে অভিযুক্ত শিশুটিকে তার বাড়ি থেকে আটক করে বড়াইগ্রাম থানা-পুলিশ। সে একজন ভ্যানচালকের ছেলে।
বড়াইগ্রাম থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের বাইসাইকেল নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার পর মহিষভাঙ্গার কাতারপ্রবাসী মিলন হোসেনের একমাত্র ছেলে মিনহাজ হোসেন (১০) নিখোঁজ হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে একই এলাকায় মহাসড়কের পাশে তার রক্তাক্ত মরদেহ ও ব্যবহৃত সাইকেলটি পাওয়া যায়। তবে মিনহাজের কাছে থাকা মুঠোফোনটি পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। পুলিশ প্রযুক্তির মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া মুঠোফোনটির অবস্থান শনাক্ত করে। এরপর এক ভ্যানচালকের ছেলের কাছ থেকে ফোনটি পাওয়া যায়। এ সময় ছেলেটিকে থানায় নিয়ে উপজেলা প্রবেশন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে ছেলেটি জানায়, বিকেলে সে মিনহাজের সঙ্গে একই সাইকেলে ঘুরছিল। একপর্যায়ে তার মুঠোফোনে সে টিকটক দেখতে চাইলে তাকে দেখানো হচ্ছিল না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। একপর্যায়ে সে ইট দিয়ে মিনহাজের মাথায় আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। পরে তার মরদেহ মহাসড়কের পাশের ভুট্টার জমিতে ফেলে সে চলে আসে।
প্রবেশন কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা বড়াইগ্রাম উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রেজাউল করিম মুঠোফোনে বলেন, তাঁর উপস্থিতিতে পুলিশ আটক শিশুটির সঙ্গে কথা বলেছে। তিনি শিশু আইন-২০১৩ অনুসারে শিশুটির প্রাপ্য সব সুবিধাদি নিশ্চিত করেছেন। তবে শিশুটি পুলিশকে কী বলেছে, তা তিনি আদালতের অনুমতি ছাড়া বলতে পারবেন না বলে জানান।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, শিশুটিকে আদালতে হাজির করার প্রস্তুতি চলছে।