নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। গত বৃহস্পতিবার | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রহসনের নির্বাচন করার অভিযোগে করা মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তাঁকে হাজির করা হয়।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, শেরেবাংলা নগর থানায় প্রহসনের নির্বাচন করার অভিযোগে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত ২৬ জুন কাজী হাবিবুল আউয়ালের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ দুপুর ১২টার দিকে তাঁকে আদালতের হাজতখানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছে পুলিশ।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, কাজী হাবিবুল আউয়াল এখন হাজতখানায় আছেন। বেলা তিনটার পর কারাগারে আটক রাখার আবেদনের ওপর শুনানি হবে। সে সময় তাঁকে আদালত কক্ষে হাজির করা হবে।
দিনের ভোট রাতে করাসহ প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় হাবিবুল আউয়ালকে গত বুধবার রাজধানীর মগবাজার থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
একই মামলায় গত রোববার আরেক সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন সোমবার তাঁর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর শুক্রবার আবার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
প্রহসনের নির্বাচন করার অভিযোগে সাবেক তিন সিইসিসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে গত রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন খান।
মামলায় ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি কে এম নূরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়।
এ ছাড়া এই মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন—গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, জাবেদ পাটোয়ারী, এ কে এম শহীদুল হক প্রমুখ।