প্রতিনিধি রাজশাহী
![]() |
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) | ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া |
রাজশাহীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দুই নেতার মধ্যে মারামারির ঘটনায় একজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বুধবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে নগরের রানীবাজার এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় এ ঘটনা ঘটে।
আহত নেতার নাম ফিরোজ আলম। তিনি এনসিপির রাজশাহী জেলা সমন্বয়ক কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী এবং শহরের খড়খড়ি এলাকার বাসিন্দা। অভিযোগ উঠেছে, একই কমিটির আরেক যুগ্ম সমন্বয়কারী নাহিদুল ইসলাম সাজু তাঁকে মারধর করেন। সাজুর বাড়ি কাটাখালী এলাকায়।
ঘটনার পর ফিরোজ আলমকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের রেজিস্ট্রার খাতায় রাত ১২টায় তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় তাঁকে ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাওয়া যায়।
আহত ফিরোজ আলমের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তাঁর স্ত্রী সাথী খাতুন বলেন, ‘ডাক্তার কথা বলতে মানা করেছেন। তবে গতকালের তুলনায় আজকে একটু ভালো আছেন।’ এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে তিনি আগ্রহ দেখাননি।
দলীয় সূত্র জানায়, রাতে জেলা সমন্বয় কমিটির কয়েকজন নেতা প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলামের মালিকানাধীন রেস্তোরাঁয় একত্রে বসেছিলেন। সেখানে ফিরোজ আলম ও নাহিদুল ইসলামের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নাহিদুল উঠে গিয়ে ফিরোজের বুকে লাথি মারেন। সঙ্গে থাকা অন্য নেতারা তাঁকে থামানোর চেষ্টা করেন। পরে ফিরোজ আলম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে নাহিদুল ইসলাম সাজু বলেন, ‘ভাই, বিষয়টা মিটে গেছে। আমি এখন হাসপাতালের সামনেই আছি, ফিরোজ ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করব।’
তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হলে বলেন, ‘এটা ব্যক্তিগত না, আবার পুরোপুরি সাংগঠনিকও না। একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। বড় ভাইয়েরা কথা বলে মীমাংসা করে দিয়েছেন।’
জেলার প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। একইভাবে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।