নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা

 জুবাইদা রহমান |  ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান অবশেষে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনের হালনাগাদ কার্যক্রমে তাঁর তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধনের কাজ শেষ হয়েছে।

সোমবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মো. আখতারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, 'জুবাইদা রহমানের তথ্য হালনাগাদ কার্যক্রমে সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও নাম চূড়ান্তভাবে যুক্ত হবে হালনাগাদ শেষে।' 

আইন অনুযায়ী, দেশের জাতীয় নির্বাচন বা সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে যে কেউকে ভোটার তালিকায় থাকতে হয়। ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম।

২০০৮ সালে যখন দেশে ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়, তখন থেকেই তারেক রহমান লন্ডনে। চিকিৎসার জন্য সেই বছরই তিনি দেশ ছাড়েন। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জায়মা রহমান। এরপর থেকে তারা দেশে ফেরেননি। ফলে এতদিন ভোটার তালিকায় নাম উঠেনি জুবাইদার।

চলতি বছরের ৬ মে ১৭ বছর পর দেশে ফেরেন জুবাইদা রহমান। ছিলেন প্রায় এক মাস। ঈদের আগেই নির্বাচন কমিশনের কর্মীরা তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেন।

পাঁচ জুন তিনি আবার লন্ডনে ফিরে যান স্বামীর কাছে।

নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী বছরের ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা এবং ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের কথা রয়েছে। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন যদি তার আগেই হয়, তাহলে ভোটার তালিকা আইন সংশোধন করে আগেভাগেই তালিকা প্রকাশের পরিকল্পনা করছে কমিশন।

জুবাইদা রহমান ১৯৯৫ সালে স্বাস্থ্য ক্যাডারে বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম হয়ে চিকিৎসক হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষা ছুটিতে লন্ডনে যান। সেখানে ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে মেডিসিনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মেয়ে জুবাইদা সরাসরি রাজনীতিতে নেই। তবে সাম্প্রতিক সফরে সিলেটে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে তাকে ঘিরে বেশ আলোচনার জন্ম দেয়। আগামী নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হতে পারেন—এমন জল্পনাও আছে রাজনৈতিক মহলে।

জুবাইদার পিতা রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খান বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান ছিলেন। পরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সরকারের যোগাযোগ ও কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। জেনারেল এম এ জি ওসমানী ছিলেন তাঁর চাচা।