নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
![]() |
বাংলাদেশ পুলিশ |
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে পড়ে। এরপর থেকে বহু পুলিশ সদস্য দায়িত্বস্থলে উপস্থিত হলেও কিছুদিন পর হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান। কেউ কেউ ছুটিতে গিয়ে আর ফেরেননি, আবার অনেকে ছুটি না নিয়েই গা-ঢাকা দেন।
এমন পরিস্থিতিতে দায়িত্বে অনুপস্থিত ১৪ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে সরকার। রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত ১৩টি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এসব আদেশে ২৬ জুন স্বাক্ষর করেন উপসচিব নাসিমুল গনি।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, কর্তব্যে অনুপস্থিত থাকার কারণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বরখাস্তকালীন তারা বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন। জনস্বার্থ বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়।
বরখাস্তকৃতদের মধ্যে তিনজন পুলিশ সুপার, আটজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং তিনজন সহকারী পুলিশ সুপার রয়েছেন।
সাময়িক অব্যাহতি পাওয়া পুলিশ সুপাররা হলেন—নারায়ণগঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, রংপুর জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান এবং ঢাকায় কর্মরত এটিইউর সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে থাকা কর্মকর্তারা হলেন—বরিশালে র্যাব-৮-এর সিপিএসসি’র ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার মাসুদুর রহমান মনির, ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার এস. এম. শামীম, সুনামগঞ্জ ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের রুবাইয়াত জামান, রাঙামাটির এপিবিএন (পার্বত্য অঞ্চল) ডিআইজি অফিসের হাসানুজ্জামান মোল্লা, কক্সবাজারের ১৬ এপিবিএনের ইফতেখারুল ইসলাম, সিলেট ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের আখতারুল ইসলাম, টাঙ্গাইল নৌ পুলিশের এস. এম. জাহাঙ্গীর হাছান এবং জামালপুর ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের মিশু বিশ্বাস।
এ ছাড়া বরখাস্ত হওয়া সহকারী পুলিশ সুপাররা হলেন—উখিয়ার ৮ এপিবিএনের মোহাম্মদ ইমরুল, রাজারবাগ পুলিশ টেলিকম সংস্থার টেলিকম অফিসার মাহমুদুল হাসান এবং রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার আল ইমরান হোসেন।