নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা

শেখ হাসিনার পতনের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থী-জনতার বিক্ষোভ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ৫ অগাস্টের গণঅভ্যুত্থান দিবসকে স্মরণে রাখতে এবার দিনটিকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।

বৃহস্পতিবার এক বিশেষ বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে। প্রধান উপদেষ্টা  ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ৯ জন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, 'গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ১ জুলাই থেকে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি শুরু হবে। মূল আয়োজন শুরু হবে ১৪ জুলাই থেকে, চলবে ৫ অগাস্ট পর্যন্ত।' 

তিনি বলেন, 'এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সেই সময় সারাদেশ যেভাবে এক হয়ে আন্দোলনে নেমেছিল, সেই ঐক্য ও আবেগকে আবারও জাগিয়ে তোলা। সেই অনুভূতি এখনো আমাদের মধ্যে আছে, সেটাকে আরও দৃঢ়ভাবে ফিরিয়ে আনা হবে।' 

তিনি আরও জানান, '৫ অগাস্টকে ‘গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এখন থেকে প্রতিবছর দিনটি ছুটির দিন হিসেবে পালন করা হবে।' 

এ ছাড়া বৈঠকে আরও কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ছাত্র-জনতার দাবির ভিত্তিতে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে সুপারিশ করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদকে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে এই সনদ প্রকাশের কাজ দ্রুত শেষ করা হবে বলে জানান প্রেস সচিব।

এদিন বাংলাদেশ বেতার ও বিটিভির স্বায়ত্তশাসন বিষয়েও একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন উপদেষ্টা সিআর আবরার।

শফিকুল আলম জানান, 'গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অতীতে টিভি লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে অনেক সময় রাজনৈতিক দলের আদর্শকে মাথায় রেখে। ভবিষ্যতে কীভাবে লাইসেন্স দেওয়া হবে, সে বিষয়ে একটি নীতিমালা তৈরি করবে এই কমিটি।'