নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
![]() |
লক্ষীপুরের স্বর্ণকার সড়কের জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান আজ বৃহস্পতিবার বন্ধ রয়েছ | ছবি: জুয়েলার্স সমিতির সৌজন্যে |
জুয়েলার্স সমিতির সহসভাপতি রিপনুল হাসানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। ফলে সোনা-রুপার অলংকার বেচাবিক্রি হচ্ছে না।
পুরান ঢাকার তাঁতিবাজার এলাকা থেকে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রিপনুল হাসানকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রিপনুলের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জুয়েলার্স সমিতির নেতারা আজ বৃহস্পতিবার থেকে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায় স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।
জানা যায়, রিপনুল হাসানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা বা ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে ছাড়িয়ে আনতে জুয়েলার্স সমিতির কয়েকজন নেতাও সেখানে যান। তবে তাঁদের অনুরোধেও রিপনুল হাসানকে ছাড়েনি পুলিশ।
জুয়েলার্স সমিতির কয়েকজন নেতা নিশ্চিত করেন, রাজধানীর বায়তুল মোকাররম, বসুন্ধরা শপিং সিটিসহ অন্যান্য বিপণিবিতানের পাশাপাশি নরসিংদী, মাগুরা, কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন জেলার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা আজ সকাল থেকে দোকানপাট বন্ধ রেখেছেন।
ঘোষিত কর্মসূচি কত দিন চলবে জানতে চাইলে জুয়েলার্স সমিতির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আজকে বেলা তিনটায় জরুরি বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন সমিতির পরিচালনা পর্ষদ।’ অপর এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের ব্যক্তিগত অপরাধের দায় সমিতি নেবে না। তবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যাতে কেউ হয়রানি না হয়, সে জন্য কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।
সমিতির একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সামনে ঈদ, তাই কর্মীদের বেতনভাতা দেওয়ার বিষয় আছে। দোকানপাট বন্ধ রাখা হলে বেতনভাতার অর্থ সংস্থান করা কঠিন হবে। ফলে এই মুহূর্তে কঠিন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
গতকাল রাতে পরিচালনা পর্ষদের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গত আগস্টে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রিপনুল হাসানের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রিপনুল আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও কোনো পদপদবি ছিল না।