নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা

মেহের আফরোজ শাওন | ছবি : ফেসবুক থেকে

এক নারীকে হত্যাচেষ্টার মামলায় অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন, তাঁর বাবাসহ ১০ ব্যক্তির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ছানাউল্ল্যাহ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। এই আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

একই মামলায় গত ২৩ এপ্রিল শাওনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আদালত।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বাদীপক্ষ থেকে আজ এই মামলার পলাতক আসামি শাওনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে আদালত তাঁদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন।

অন্য যাঁদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন, শাওনের বাবা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী, ভাই মাহিন আফরোজ, বোন সেঁজুতি ও তাঁর স্বামী সাব্বির, শাওনের বাবার বোনের ছেলে মোখলেছুর রহমান, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ, সিটিটিসি ইউনিটের সাবেক এডিসি নাজমুল ইসলাম, সিটিজেন কেব্‌লসের মহাব্যবস্থাপক সুব্রত দাস ও হিসাব বিভাগের প্রধান মাইনুল হোসেন।

এই মামলায় জামিনে আছেন পুলিশের পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও উপপরিদর্শক শাহ আলম।

শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে গত ১২ মার্চ শাওনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিশি ইসলাম নামের এক নারী। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন, শাওনের বাবা মোহাম্মদ আলী তাঁর স্বামী। এই নারী আদালতে কাবিননামা জমা দিয়েছেন।

নিশি ইসলামের মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত শাওনসহ ১২ জনকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারির আদেশ দিয়েছিলেন। গত ২৩ এপ্রিল ছিল আদালতে হাজিরার দিন। সেদিন শাওনসহ ১০ জন আদালতে হাজির না হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

মামলায় নিশি ইসলাম দাবি করেছেন, আগের স্ত্রীর কথা গোপন রেখে ও প্রতারণা করে ২০২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ৫০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে তাঁকে বিয়ে করেন মোহাম্মদ আলী। পরে বাদী জানতে পারেন, মোহাম্মদ আলী আগেই বিবাহিত। পরে বিয়ের কথা গোপন করার জন্য আসামিরা বাদীকে চাপ দেন। গত ৪ মার্চ মোহাম্মদ আলীর গুলশানের বাসায় বাদীকে নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয় মামলায়। শাওনের বিরুদ্ধেও মামলায় নির্যাতনের অভিযোগ আনেন বাদী। পরে বাদীকে বাসা থেকে তুলে এনে গ্রেপ্তার করিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।