প্রতিনিধি যশোর

এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশ জারির প্রতিবাদে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে দ্বিতীয় দিনের কলমবিরতি চলছে। সকাল ৯টা থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকাংশ নিজেদের চেয়ারে বসেননি। আজ সকালে স্থলবন্দরের কার্যালয়ে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

যশোরের বেনাপোল কাস্টম হাউসের কর্মকর্তাদের কলমবিরতিতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ আছে। এতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি পণ্য নিয়ে দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে ৪৫০টি ট্রাক।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির অধ্যাদেশ জারির প্রতিবাদে কলমবিরতির দ্বিতীয় দিনে আজ বৃহস্পতিবারও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে কোনো ধরনের কার্যক্রম চলছে না। সকাল ৯টা থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকাংশই নিজেদের কার্যালয়ে বসেননি। ফলে আমদানি-রপ্তানি ও পণ্য ওঠানো-নামানোসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ আছে। আজ বেলা ৩টার পর বিরতি শেষে কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

এর আগে গতকাল বুধবার প্রথম দিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত কলমবিরতি চললেও আজ আরও দুই ঘণ্টা বাড়িয়ে বেলা ৩টা পর্যন্ত করা হয়েছে। ফলে দুই দিন ধরে বন্দরটির কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। আজ সকাল ৯টার দিকে বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনো কাজ করতে দেখা যায়নি। তাঁরা আমদানি-রপ্তানির কোনো ফাইলে সই করেননি। সেই সঙ্গে পণ্যের চালান মূল্যায়ন (অ্যাসেসমেন্ট), পরীক্ষণ ও কার পাস বন্ধ আছে। এসব কারণে বন্দরের ভেতরে পণ্য ওঠানো-নামানোরও কার্যক্রমও বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ওপারে ভারতে পণ্যবাহী যানবাহনের জট বাঁধতে শুরু করেছে।

বেনাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে ৪০০-৪৫০টি ট্রাকে পণ্য আমদানি হয়। কর্মদিবসের ছয় ঘণ্টা কার্যক্রম বন্ধ থাকলে তো পণ্যের জট বাঁধবেই। বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের পণ্যবোঝাই ৪৫০টির বেশি ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। বেলা ৩টার পর কাজ শুরু হলে আজ হয়তো একটু বেশি রাত পর্যন্ত কার পাস চালু রাখার বিষয়ে কাস্টমস কর্মকর্তাদের অনুরোধ করব। তাতে আমরা হয়তো পণ্যের জট কমিয়ে আনতে পারব।’

একই কথা জানান বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, যাতে পণ্যের কোনো জট না থাকে, সেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ঢাকার এনবিআর ভবনসহ সারা দেশে কাস্টমস, ভ্যাট ও শুল্ক কার্যালয়ে তিন দিন কলমবিরতি কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। দেশের সব কর অঞ্চল, ভ্যাট ও শুল্ক কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ কর্মসূচি পালন করছেন। তিন দিনের এ কলমবিরতি শুরু হয়েছে গতকাল থেকে।