[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

মানবিক করিডর ও বন্দর ইস্যুতে জাতীয় ঐকমত্য চায় খেলাফত মজলিস

প্রকাশঃ
অ+ অ-

নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের লোগো তাদের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ‘মানবিক করিডর’ ও চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার ভার বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার তৎপরতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। শুক্রবার এক বিবৃতিতে করিডর এবং চট্টগ্রাম বন্দর-সংক্রান্ত সব আলোচনা, চুক্তি ও প্রস্তুতি অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে দলটি।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক ও মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তি ও নীতিনির্ধারকদের বক্তব্য জনমনে আতঙ্ক ও আশঙ্কা তৈরি করেছে। জাতীয় নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট এ ধরনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে জাতীয় ঐকমত্যের প্রয়োজন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, সরকার মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তথাকথিত “মানবিক করিডর”প্রতিষ্ঠার বিষয়ে বিদেশি শক্তির পৃষ্ঠপোষকতায় একধরনের ইতিবাচক অবস্থান গ্রহণ করেছে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশি রাষ্ট্র কিংবা বহুজাতিক গোষ্ঠীর কাছে ইজারা দেওয়ার বিষয়ে প্রকাশ্যে ও গোপনে নানা আলোচনা ও প্রস্তুতি চলমান রয়েছে।’

এ ধরনের তৎপরতা বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব এবং ভূরাজনৈতিক স্বার্থের জন্য মারাত্মক হুমকি উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাখাইনে মানবিক করিডরের নামে সীমান্তঘেঁষা অঞ্চলে বিদেশি উপস্থিতি বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলীয় এলাকায় সংঘাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে এবং এতে দেশের নিরাপত্তাব্যবস্থা এক ভয়াবহ সংকটে পড়বে।’

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার অর্থ বাংলাদেশের স্বাধীন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা এবং এতে ঔপনিবেশিক আগ্রাসনের একটি নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে বলে মনে করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাখাইন করিডর এবং চট্টগ্রাম বন্দরসংক্রান্ত সব আলোচনা, চুক্তি ও প্রস্তুতি অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাচ্ছি। সরকার যেন সব রাজনৈতিক দল ও জাতীয় প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে এ বিষয়ে স্বচ্ছ আলোচনা করে।’

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সর্বাত্মকভাবে প্রতিরোধ করবে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন