প্রতিনিধি রাজশাহী
![]() |
রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ নেতার তিন বিঘা জমির পেঁপেগাছ কেটে ফেলা হয়েছে। উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের খানপুর গ্রামে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর তিন বিঘা জমির পেঁপেগাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের খানপুর গ্রামে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কাটা হয় এসব গাছ। গ্রেপ্তারের আগে কাটা হয়েছিল তাঁর দুই বিঘা জমির আখ।
আওয়ামী লীগের এই নেতার নাম মো. রাসেল আলী। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক। বর্তমানে তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।
এর আগে গত সোমবার রাসেল আলীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এর আগের রাতেই তাঁর দুই বিঘা জমির আখ কাটা হয়। পরিবারের অভিযোগ, যাঁরা রাসেল আলীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে, তাঁরাই পেঁপেগাছ কেটে ফেলতে পারেন। এ ঘটনায় তাঁরা থানায় মামলা করবেন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার রাতে রাসেল আলী দেখতে পান তাঁর দুই বিঘা জমির আখ কে বা কারা কেটে নিয়েছে। পরে এ নিয়ে সোমবার বিকেলে এলাকায় সালিস হওয়ার কথা ছিল। সেদিন সকালে তিনি বাঘা উপজেলায় যান ভুট্টা বিক্রির টাকা আনতে। দুপুরে স্থানীয়রা রাসেল আলীকে ধরে বাঘা থানায় সোপর্দ করেন। পরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার রাতে কাটা হয় তাঁর জমির পেঁপেগাছ।
রাসেল আলীর স্ত্রী মোসা. সুমি খাতুন বলেন, ‘গাছগুলো ছোট থেকে বড় করা হয়েছে অনেক যত্ন করে। এই পেঁপে চাষ করতে এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ৪ লাখ টাকা। আর এক সপ্তাহ পর থেকে পেঁপে পেড়ে বিক্রি করা হতো। এর আগেই সব পেঁপেগাছ কেটে ফেলা হয়েছে।’
এ বিষয়ে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ ফ ম আছাদুজ্জামান বলেন, পেঁপেগাছ কাটার তথ্য জানতে পেরে আজ সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাসেল আলীকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ওসি বলেন, রাসেল আলী আওয়ামী লীগ করেন। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক। একটা মব সৃষ্টি হচ্ছিল। সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। পরে একটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।