প্রতিনিধি বগুড়া
![]() |
গ্রেপ্তার ফিরোজ কামাল ফারুক | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন একটি জাতীয় দৈনিকের উপজেলা প্রতিনিধি ফিরোজ কামাল ফারুক। সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের কাথম গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে নন্দীগ্রাম থানা–পুলিশ।
ফিরোজ কামাল দৈনিক কালের কণ্ঠ ও দৈনিক ভোরের দর্পণ পত্রিকার নন্দীগ্রাম প্রতিনিধি। এ ছাড়া তিনি নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। আজ মঙ্গলবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বগুড়া সদর থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া হত্যা, হত্যাচেষ্টাসহ বগুড়া সদর ও নন্দীগ্রাম থানার পাঁচটি মামলায় আসামি হিসেবে নাম আছে ফিরোজ কামালের। এর মধ্যে গত বছরের ১৬ আগস্ট বগুড়া সদর থানায় করা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শিক্ষক সেলিম হোসেন হত্যা মামলার ৭৬ নম্বর আসামি তিনি। ওই মামলায় এজাহারনামীয় আসামি হিসেবে আছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ১০১ জন।
নিহত সেলিম হোসেন কাহালু উপজেলার মুরইল লাইট হাউজ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তাঁর বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পীরব ইউনিয়নের পালিকান্দা গ্রামে। ওই ঘটনায় হওয়া হত্যা মামলাসহ পাঁচটি মামলাতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ফিরোজ কামালকে।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার এড়াতে ৫ আগস্টের পর থেকে ফিরোজ কামাল আত্মগোপনে ছিলেন। কয়েক দিন আগে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে তিনি বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় ফেরেন। গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে পুলিশ সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে নন্দীগ্রাম থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম মঙ্গলবার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক কামাল স্বীকার করেন, ৫ আগস্টের পর তিনি প্রথমে ভারতে পালিয়ে যান। পরে দেশে ফিরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় আত্মগোপন করে ছিলেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর নামে বগুড়া সদর, নন্দীগ্রাম থানায় হত্যাসহ নাশকতার পাঁচটি মামলা আছে। এসব মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বগুড়া আদালতের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন, ফারুক কামালকে আজ দুপুরে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের বিচারক সুমাইয়া সিদ্দিকা তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।