প্রতিনিধি মুন্সিগঞ্জ

ধর্ষণ | প্রতীকী ছবি

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় সাত বছরের একটি শিশুর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার ধীপুর ইউনিয়নে একটি জঙ্গলের ভেতর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ছেলেশিশুটি দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত। গত শুক্রবার বিকেলে শিশুটি নিখোঁজ হয়। তার পরিবারের অভিযোগ, প্রতিবেশী এক তরুণ (২০) শিশুটিকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছেন। পরে লাশ গুম করতে জঙ্গলে ফেলে দিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে খেলাধুলা করার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় শিশুটি। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও সে বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন স্বজনেরা। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে তাঁরা জানতে পারেন, প্রতিবেশী তরুণের সাইকেলে ঘুরতে দেখা গেছে শিশুটিকে। শিশুটির বাবা লোকজন নিয়ে ওই তরুণের বাড়িতে যান। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে গতকাল রাত দেড়টার দিকে ওই তরুণ জানান, শিশুটিকে হাত-পা বেঁধে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেছেন তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ আজ সকালে অভিযুক্ত তরুণকে আটক করে। তাঁর দেখানো জায়গা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত শিশুর চাচা অভিযোগ করেন, প্রতিবেশী তরুণের চরিত্র তেমন ভালো ছিল না। তিনি ছোট ছোট ছেলেদের দেখলেই ধর্ষণের চেষ্টা করতেন। এর আগেও তাঁদের গ্রামে একটি ছেলেকে তিনি ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন। তখন তিনি ওই তরুণকে শাসন করেছিলেন।

টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিদুল ইসলাম আজ বেলা ১১টার দিকে বলেন, খবর পেয়ে অভিযুক্ত তরুণকে আটক করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ধীপুর ইউনিয়নের পলাশপুর এলাকার একটি জঙ্গলের ভেতর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।