প্রতিনিধি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
![]() |
সিনেট ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতা–কর্মীরা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন দ্রুত করা, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার—এই তিন দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতা–কর্মীরা।
আজ শনিবার বেলা আড়াইটাই বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতা-কর্মীরা মধুর ক্যানটিনের সামনে জড়ো হয়ে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কলাভবন, হলপাড়া প্রদক্ষিণ করে সিনেট ভবনের সামনে এসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
এ সময় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের আজকের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে সময় বেঁধে দেন। তিনি বলেন, আর কোনো টালবাহানা নয়। আজকের দিনের মধ্যে ডাকসুর নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করতে হবে।
উপাচার্য ও প্রক্টরের উদ্দেশে আবদুল কাদের বলেন, ‘ক্যাম্পাসে শিক্ষক, কর্মকর্তা নির্বাচন হতে পারে, কিন্তু ডাকসু নির্বাচন হতে পারে না। যদি আপনারা নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত ও ডাকসু নির্বাচন না দিতে পারেন, তাহলে আপনারা এই আসনের যোগ্য নন।’ এ সময় তিনি তাঁদের তিন দফা দাবি তুলে ধরেন।
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মুখ্য সংগঠক তাহমিদ আল মুদ্দাসসির বলেন, একটি শ্রেণি বর্তমান সময়ে পুলিশ ও প্রশাসনের নির্লিপ্ততার দোহাই দিয়ে ডাকসু নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি করা বিশৃঙ্খলার নিন্দা জানিয়ে তাহমিদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসন পুরোপুরি ব্যর্থ। এই ব্যর্থতার দায় ভিসি–প্রক্টরের ওপর দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে, আমরা এর নিন্দা জানাই।’
তাহমিদ দাবি করেন, ডাকসু ও বিশ্ববিদ্যালয়ের যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, তা পিছিয়ে দিতে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ্য সংগঠক হাসিব আল ইসলাম বলেন, ‘এই ক্যাম্পাস এখনো নিরাপদ নয়। মাসকাসক্ত, ভবঘুরেদের অবাধ বিচরণের কারণে নারীরা হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। আজ ১১ দিন হওয়ার পরও কোনো প্রকৃত আসামিকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। আবার একটা গোষ্ঠীকে দেখতে পাই সব সময় দলীয় স্বার্থে ডাকসুর বিরোধিতা করছে। আমরা চাই, দ্রুততম সময়ের ডাকসু নির্বাচন কমিশন ও তফসিল ঘোষণা করা হোক।’
অবস্থান কর্মসূচিতে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতা–কর্মীরা ‘এক দুই তিন চার, ডাকসু আমার অধিকার’, ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘সাম্য ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’, ‘উই ওয়ান্ট উই ওয়ান্ট, ডাকসু ডাকসু’সহ নানা স্লোগান দেন।