নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আজ শনিবার সকালে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শুরু হয়েছে। ২৬ এপ্রিল, এলডি হল, জাতীয় সংসদ ভবন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকারের নয়। এটা বাংলাদেশের গণমানুষের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষার ফলাফল। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান আলোচনার উদ্দেশ্য থাকবে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা।
আজ শনিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সংস্কার প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের শুরুতে আলী রীয়াজ এ কথা বলেন।
চব্বিশের আন্দোলনে দেশ কতটা স্বাধীন হয়েছে, সেটা সময় বলে দেবে উল্লেখ করে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ৫৪ বছরে দেশের মানুষের ব্যাপক হতাশা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে মানুষ বঞ্চনার প্রতিবাদ জানিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে চায়।
সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের আরও বলেন, ‘চব্বিশের আন্দোলনের যারা এখনো হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে, তাদের পুনর্বাসনে অন্তর্বর্তী সরকার আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে পারত। সরকারের আরও অনেক কিছুই করার ছিল।’
সংস্কারের জন্য গঠিত পাঁচটি কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার অংশ হিসেবে আজ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, সাবেক বিচারপতি এমদাদুল হক ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা একটা সাম্যের বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ পেয়েছি। তাই আমাদের আলোচনার উদ্দেশ্য থাকবে, একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা।’
সংস্কারের উদ্যোগ শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নয় উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, ‘বাংলাদেশের গণমানুষ সংস্কারের এই গুরুদায়িত্ব রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমসহ প্রতিটি দায়িত্বশীল পক্ষকে অর্পণ করেছে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করতে চাই। যেখানে কোনো মানুষকে দ্বিতীয়বার বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, খুনের শিকার হতে হবে না।’
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে আলোচনায় অংশ নেন রাজনৈতিক দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, জামায়াতের আইনজীবী শিশির মোহাম্মদ মনির। প্যানেল সদস্য হিসেবে আছেন মহিউদ্দিন সরকার।