প্রতিনিধি পটুয়াখালী

লাশ | প্রতীকী ছবি

পটুয়াখালীর দুমকিতে নিজ ঘরে খুন হওয়া ৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ইমাম হোসেন সিকদার।

পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালের চিকিৎসক ইমাম হোসেন জানান, গতকাল বিকেলে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ওই নারীর মরদেহের ময়নাতদন্ত করেছেন তিনি। এ সময় তাঁর শরীরে ধর্ষণের আলামত পেয়েছেন।

গতকাল সকালে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় দুমকি থানা-পুলিশ। তাঁর পুত্রবধূ ও স্বজনদের অভিযোগ, গত শনিবার দিবাগত রাত একটার দিকে মনির হোসেন (৪৮) নামের ওই বৃদ্ধার দূরসম্পর্কের এক নাতি বসতঘরটিতে প্রবেশ করেন। এরপর ওই বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এর আগে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে মনিরকে গতকাল আটক করে পুলিশ। পরে দুমকি থানায় স্বজনদের করা হত্যা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, ময়নাতদন্তে যদি ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়, তবে হত্যার ধারার সঙ্গে আরও একটি ধারায় আসামিকে অভিযুক্ত করা হবে।

দুমকি থানা-পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, ‘ওই বৃদ্ধার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে চাওয়া হয়েছে। তারা প্রতিবেদন দিলেই আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’

অন্যদিকে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দিলরুবা ইয়াসমীন জানান, যিনি ওই বৃদ্ধার ময়নাতদন্ত করেছেন, তিনি প্রতিবেদন জমা দিলেই থানা-পুলিশের কাছে পাঠানো হবে।

এর আগে ওই বৃদ্ধার পুত্রবধূ জানান, গত শনিবার গভীর রাতে মনির তাঁদের ঘরের কাছে গিয়ে পানি খাওয়ার কথা বলে দরজা খুলতে বলেন। এ সময় তিনি (পুত্রবধূ) দরজা না খুললে মনির ঘরের পেছনের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। এরপর তাঁর (পুত্রবধূ) কাছে টাকা দাবি করেন। তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁর ঘুমন্ত স্বামীকে পিটিয়ে জখম করেন মনির। এতে তিনি (পুত্রবধূ) ভয় পেয়ে নিজের প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পাশের একটি ঘরে আশ্রয় নেন।

পুত্রবধূ আরও বলেন, ঘটনার সময় মনিরের আচরণ অস্বাভাবিক ছিল। তাঁর ধারণা, মনির ওই সময়ে মাদকাসক্ত ছিলেন। এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর মনির ঘর থেকে চলে গেলে তিনি ঘরে ফিরে আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর শাশুড়ি মৃত ও বিবস্ত্র। তাঁর ধারণা, তাঁর শাশুড়িকে ধর্ষণের পর পিটিয়ে হত্যা করেছেন মনির।