চাটমোহরে নিখোঁজ শিশুর মুখ ঝলসানো লাশ উদ্ধার, পাঁচ কিশোর আটক
প্রতিনিধি নাটোর
![]() |
| শিশু জুঁইকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার সোহেল রানা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
নাটোরের বড়াইগ্রামের নিখোঁজ হওয়া শিশু হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক সবাই বয়সে কিশোর। তাদের বয়স ১৩ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। পুলিশের কাছে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে নাটোরের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। গত শুক্রবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও বড়াইগ্রাম থানা–পুলিশ।
আটক শিশুদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে শিশুটিকে হত্যা করা হয় এবং ব্যাটারিতে ব্যবহৃত অ্যাসিড দিয়ে শিশুটির মুখ ঝলসে দেওয়া হয়। জড়িতরা সবাই এলাকার বখাটে বা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।
নাটোর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৪ এপ্রিল নিখোঁজ হওয়া শিশুটির মরদেহ পরের দিন বাড়ির পাশ লাগোয়া পাবনার চাটমোহর উপজেলায় একটি ভুট্টাখেত থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় চাটমোহর থানায় শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় কোনো আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি।
তবে নাটোরের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও বড়াইগ্রাম থানার পুলিশ ঘটনার পর থেকে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের শনাক্তে মাঠে নামে। এরই অংশ হিসেবে তারা বড়াইগ্রামের চান্দাই ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান থেকে পাঁচ কিশোরকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশের কাছে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে। মামলাটি চাটমোহর থানায় হওয়ায় তাদের সেখানে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।
নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন জানান, আটক পাঁচজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না। তবে তারা শিশুটিকে হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। তাদের মধ্যে একজন মাদ্রাসাছাত্র ও একজন কলের লাঙলের চালক। আগে থেকেই তারা শিশুটিকে উত্ত্যক্ত করত। ঘটনার সময় শিশুটির সঙ্গে থাকা অন্য এক শিশুও ঘটনাটি দেখেছে। তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে আইন অনুসারে আটক শিশুদের চাটমোহর থানা–পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। সেখানকার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিধি অনুসারে তাদের আদালতে সোপর্দ করবেন।

Comments
Comments