[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

গণতন্ত্রের বিকল্প হতে পারে না সংস্কার: প্রশ্ন তুললেন রিজভী

প্রকাশঃ
অ+ অ-

নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

সংস্কার কেন ভোটাধিকার আর গণতন্ত্রের বিকল্প হবে, এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, যে ভোটাধিকারের জন্য ১৫ থেকে ১৬ বছর সংগ্রাম করেছেন, সেই ভোটাধিকার কেন বিলম্বিত হচ্ছে? সেটা নিয়ে কেন এত কথা হচ্ছে? কেন নির্বাচন ও ভোটাধিকারের বিকল্প হিসেবে সংস্কারকে দাঁড় করানো হচ্ছে?

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে এমন প্রশ্ন তুলেছেন রুহুল কবির রিজভী। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম হওয়া বিএনপি নেতা সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর সন্ধানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘ইলিয়াস আলী গুম প্রতিরোধ কমিটি’।

অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির নেতা রিজভী বলেন, ‘আমরা ভোট, নির্বাচন ও ভোটাধিকারের কথা বললে সরকার আরও কিছু কথা বিকল্প হিসেবে দাঁড় করাচ্ছে। গণতন্ত্র মানেই তো নির্বাচন। গণতন্ত্র মানেই তো ন্যায়বিচার। সেগুলো নিয়ে কি করছেন?

বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে হওয়া রাজনৈতিক মামলাগুলো এখনো প্রত্যাহার না হওয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীদের নামে ৬০ লাখ মামলা। আট মাস ক্ষমতায় আছেন, এসব মামলা তো প্রত্যাহার করা যেত। এর জন্য কিছুই করেননি। আজও কেন আদালতের বারান্দায় ঘুরে বেড়াতে হবে?’

ডিসেম্বর-জুনের দোলনার মধ্যে কেন বাংলাদেশের নির্বাচনী ওয়াদা ধুলছে, এমন প্রশ্ন তুলে বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের নির্বাচনী ওয়াদা ডিসেম্বর আর জুনের মধ্যে পেন্ডুলামের মতো দুল খাচ্ছে কেন? অন্তর্বর্তী সরকারকে এটার জবাব দেওয়া দরকার।

বিএনপি পরিবারের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানো হয় না উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, তার মানে, কোনো একটা এজেন্ডা বা পরিকল্পিত নকশার মধ্য দিয়ে এই সরকার চলছে। এটাই তো মানুষের কাছে সব থেকে বড় প্রশ্ন। এই কারণেই তো আজ এত ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছে।

বিএনপির ১৫ থেকে ১৬ বছরের আন্দোলনের কথা স্মরণ করিয়ে রিজভী বলেন, ‘আমরা তো চেয়েছি একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। আমরা চেয়েছি, আমাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। আমরা চেয়েছি, আইনের শাসন নিশ্চিত করা। অন্তর্বর্তী সরকারকেই জায়গাটি নিশ্চিত করা দরকার।’

রিজভী বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের অবদানকে আমরা স্বীকার করি। কিন্তু এটা যদি এ রকম হয় যে তাদের কথায় প্রশাসন চলবে, সব সরকারি কর্মকাণ্ড হবে—এটাকে বলে নৈরাজ্য। এই নৈরাজ্য কেন হবে? ডিসি-এসপিরা বলেন, এখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা বলে গেছেন, এভাবে করা যাবে না। তাহলে জনপ্রশাসন কেন?’

অন্তর্বর্তী সরকারের আট মাস সময় অতিবাহিত হলেও ইলিয়াস আলীসহ বিএনপির অন্য নেতাদের খোঁজ না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন রুহুল কবির রিজভী। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আট মাস হয়ে গেল। গুম কমিশন কী কার্যক্রম করছে? কোথায় ইলিয়াস আলী? কোথায় চৌধুরী আলম? কোথায় সুমনসহ অন্যরা? তাঁদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কী দায়িত্ব পালন করছেন?

সিলেট সীমান্তে ভারতের টিপাইমুখ বাঁধ দেওয়ার প্রতিবাদে কর্মসূচি করার কারণে ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হয়েছেন বলে বিশ্বাস করেন রিজভী। তিনি বলেন, যারা সহ্য করতে পারেনি, তৎকালীন যারা ক্ষমতায় ছিল, তাদের যৌথ প্রযোজনায় ইলিয়াস আলীকে অদৃশ্য করে ফেলা হয়েছে।

দোয়া মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক সরাফত আলী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ‘নিখোঁজ’ এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা প্রমুখ।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন