চাঁদা না দেওয়ায় পাবিপ্রবি কর্মকর্তাকে হত্যার হুমকি

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি পাবনা: খেলাধুলার সরঞ্জাম কেনার নামে চাঁদা না দেওয়ায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার শেখ শাহ জামালকে হেনস্তা ও হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। 

রোববার দুপুরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা দপ্তরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী কর্মকর্তা।

এদিকে এ ঘটনার একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়েছে। তাতে ভুক্তভোগী কর্মকর্তার সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে একজনকে ওই কর্মকর্তাকে হত্যার হুমকি দিতে শোনা যায়।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাফাত বিন ইসলাম শোভন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমাছুর রহমান অয়ন, হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির রায়হান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী মো. লিখন এবং তানভীর শান্ত। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবুর অনুসারী।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কর্মকর্তা শাহ জামাল বলেন, ‘দুপুরে ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী আমার কাছে এসে টাকা দাবি করেন। আমি বললাম, অফিশিয়াল প্রসিডিউর ছাড়া করতে পারব না। একপর্যায়ে ওরা আমাকে চেয়ার থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং বলে, “চাকরি এখন রিজাইন দিয়ে পাবনা ছাড়বি, না হলে তোকে খুন করে ফেলব।” এর আগেও ওরা আমাদের সঙ্গে এমন করেছে, আমি অভিযোগ দিয়েছি; কিন্তু বিচার পাইনি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে ওই কর্মকর্তার ছেলেপেলেদের ফেদার দেওয়া কথা ছিল, কিন্তু আজ দিচ্ছে, কাল দিচ্ছে বলে তাদের ঘোরাচ্ছে। আজকে নাকি তার অফিসে ছেলেদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়েছে, এটুকুই জানি। ওদের মধ্যে দু-একজন ছাত্রলীগের কেউ থাকতে পারে। বেশির ভাগই সাধারণ শিক্ষার্থী। এখন যেহেতু উনি বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন, এখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই এটা দেখবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম বলেন, ‘আমি বিকেল ৪টা পর্যন্ত অফিসে ছিলাম। তখন পর্যন্ত অভিযোগ পাইনি। আমিও শুনেছি তিনি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ হাতে পেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘কী হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলতে পারব।’