[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত সন্দেহে তুরস্কের নাগরিক রাজধানীর হাসপাতালে ভর্তি

প্রকাশঃ
অ+ অ-

মাঙ্কিপক্স | ছবি: রয়টার্স

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকায় আসা তুরস্কের এক নাগরিক মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাঁকে রাজধানীর সরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তির এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ হয়নি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক তাহমিনা শিরীন বলেন, ‘বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা বিদেশফেরত এক ব্যক্তি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করেছেন। আজ বিষয়টি আইইডিসিআরকে জানানো হয়েছে। আমরা এখন তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার অপেক্ষায়।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে রাজধানীর মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে রাখা হয়েছে। সেখানেই তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে। তবে কবে নাগাদ পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে, তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ৪ জুনের হিসাব অনুযায়ী, নতুন করে প্রাদুর্ভাবের পর আফ্রিকার বাইরে মোট ২৭টি দেশে এ পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সের রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। রোগীর সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, অনেকটা গুটিবসন্তের মতো হলেও মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ মৃদু। শুরুতে জ্বর, মাথাব্যথা, শরীরব্যথা, ক্লান্তি, অবসাদ ইত্যাদি দেখা দেয়। ফুলে যেতে পারে লসিকা গ্রন্থি। এক থেকে তিন দিনের মধ্যে সারা গায়ে ফুসকুড়ি ওঠে। মুখে শুরু হয়ে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এই ফুসকুড়ি। বসন্তের মতোই প্রথমে লাল, তারপর ভেতরে জলপূর্ণ দানা, শেষে শুকিয়ে পড়ে যেতে থাকে। দুই থেকে চার সপ্তাহ স্থায়ী হয় এই রোগ। তারপর নিজে নিজেই সেরে যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তেমন বড় কোনো জটিলতা হয় না।

ইউকে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস জানায়, মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিত বেশির ভাগ রোগীই কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেরে ওঠেন। তবে মাঙ্কিপক্স তেমন গুরুতর না হলেও হঠাৎ রোগটির প্রাদুর্ভাব বিজ্ঞানীদের উদ্বিগ্ন করেছে। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য নতুন নির্দেশনা দিয়েছেন। উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা সংক্রমিত ব্যক্তিদের তিন সপ্তাহ সঙ্গনিরোধে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

মাঙ্কিপক্স সাধারণত পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার দেশগুলোতে হয়ে থাকে। ১৯৭০ সালে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। এই রোগ এখন আফ্রিকার বাইরেও শনাক্ত হচ্ছে। তাই রোগটি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। আফ্রিকা ভ্রমণ করেননি, এমন অনেকের এই রোগ শনাক্ত হচ্ছে। বিষয়টি গবেষকদের ভাবিয়ে তুলেছে।

গত বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত দ্রুত পরিবর্তনশীল আবহাওয়া পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে খাদ্যসন্ধানী অভ্যাসসহ প্রাণী ও মানুষ তাদের আচরণ পরিবর্তন করছে। এতে একসময় নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকা রোগজীবাণু আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে। এ ছাড়া অনেক রোগ মানুষ ও সংবেদনশীল প্রাণী প্রজাতির মধ্যে ফিরে আসছে।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন