পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা আরও তিন বছর বাড়ানোর দাবি বস্ত্রকল মালিকদের

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দেশের অধিকাংশ পণ্য রপ্তানি হয় | ফাইল ছবি

পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা বা প্রণোদনা আরও তিন বছর চালু রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বস্ত্রকলের মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ।

সংগঠনটির সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ও অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারকে চিঠি পাঠান। ওই চিঠিতে তিনি পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তার মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়ানোর অনুরোধ করেন।

চিঠিতে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দাসহ নানা কারণে বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার মূল্যমান উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। একই সময়ে গ্যাসের দাম বেড়েছে ২৫০ শতাংশ এবং শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে ৭০ শতাংশ। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা, শ্রমিক অসন্তোষ এবং প্রয়োজনীয় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘাটতির কারণে অনেক মিল তাদের পূর্ণ উৎপাদন ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারছে না। এসব কারণে বস্ত্রকলগুলো লোকসানের মুখে পড়ছে। এ পরিস্থিতিতে রপ্তানিতে নগদ সহায়তা আরও তিন বছর বাড়ানো জরুরি হয়ে পড়েছে।

বিটিএমএর সভাপতি চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, সংগঠনটির সদস্যসংখ্যা ১ হাজার ৮৬৯। এর মধ্যে স্পিনিং, উইভিং এবং ডাইং-প্রিন্টিং-ফিনিশিং মিল রয়েছে। এই খাতে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২৩ বিলিয়ন ডলার।

প্রসঙ্গত, পণ্য রপ্তানিতে প্রণোদনার বর্তমান সময়সীমা আগামী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বশেষ গত জুলাই মাসে পণ্য রপ্তানির প্রণোদনা সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে রপ্তানিমুখী বস্ত্র খাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্রব্যাকের পরিবর্তে বিকল্প নগদ সহায়তা নির্ধারণ করা হয় ১ দশমিক ৫০ শতাংশ। ইউরো অঞ্চলে বস্ত্র খাতের রপ্তানিকারকদের জন্য বিদ্যমান দেড় শতাংশের সঙ্গে অতিরিক্ত বিশেষ সহায়তা রাখা হয় দশমিক ৫০ শতাংশ। পাশাপাশি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাতের (নিট, ওভেন ও সোয়েটার) অন্তর্ভুক্ত সব ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য অতিরিক্ত সুবিধা ৩ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। নতুন পণ্য বা নতুন বাজারে বস্ত্র খাত সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে (যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইইউ ও যুক্তরাজ্য ছাড়া) সহায়তা ধরা হয় ২ শতাংশ। এ ছাড়া তৈরি পোশাক খাতের জন্য বিশেষ নগদ সহায়তা নির্ধারণ করা হয় দশমিক ৩০ শতাংশ।