[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

খুলনার পাঁচটি আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা, একটিতে নতুন মুখ

প্রকাশঃ
অ+ অ-
খুলনার পাঁচটি আসনে বিএনপিন প্রার্থী নজরুল ইসলাম ( উপরে বাঁ থেকে), রকিবুল ইসলাম, আজিজুল বারি (নিচে বাঁ থেকে) , আলী আজগর ও মনিরুল হাসান | ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে খুলনার ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। তালিকায় আছেন অভিজ্ঞ ও পরিচিত নেতারা। শুধু একটি আসনে নতুন মুখ।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তালিকা ঘোষণা করেন। স্থানীয় নেতা–কর্মীদের মতে, জামায়াত আগে থেকেই প্রার্থিতা ঘোষণা করে প্রচারণা চালাচ্ছে। বিএনপিরও প্রতিটি আসনে কয়েকজন করে নেতা প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। প্রার্থী ঘোষণায় তৃণমূলের নেতা–কর্মীরা স্বস্তি পেলেও তরুণ নেতৃত্বের প্রত্যাশা অপূর্ণ থেকে গেছে। খুলনা–২ ও খুলনা–৬ আসনে দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে হবে।

খুলনা–১: প্রার্থী ঘোষণা হয়নি
দলীয় ঘোষণায় খুলনা–১ (দাকোপ–বটিয়াঘাটা) আসনটি আপাতত ‘স্থগিত’ রাখা হয়েছে। দলীয় কোন্দল মিটিয়ে পরে প্রার্থিতা ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে। এই আসনে সাবেক আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল নেতা জিয়াউর রহমান (পাপুল) মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। আমীর এজাজ খান একাধিকবার ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন।

অভিজ্ঞ মুখদের ভরসা
খুলনা–২ (সদর–সোনাডাঙ্গা) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা–৩ (খালিশপুর–দৌলতপুর–খানজাহান আলী) আসনে রকিবুল ইসলাম বকুল, খুলনা–৪ (রূপসা–তেরখাদা–দিঘলিয়া) আসনে আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা–৫ (ডুমুরিয়া–ফুলতলা) আসনে সাবেক এমপি আলী আসগর লবি এবং খুলনা–৬ (পাইকগাছা–কয়রা) আসনে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব মনিরুল হাসান বাপ্পিকে মনোনয়ন দিয়েছে দল।

নজরুল ইসলাম মঞ্জু ২০১৮ সালের নির্বাচনে খুলনা–২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এই আসন থেকেই তিনি সংসদ সদস্য হন। তিনি খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থীও ছিলেন।

২০২১ সালে নগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ হারানোর পর কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়লেও রাজনীতি থেকে সরে যাননি মঞ্জু। বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন নিয়মিত। মনোনয়ন ঘোষণার পর তাঁর অনুসারীরা উচ্ছ্বসিত হলেও বর্তমান নগর বিএনপির নেতৃত্বপন্থীরা বিষয়টি সহজভাবে নেননি। ফলে খুলনা–২ আসনের পুরোনো দ্বন্দ্ব এবারও দলের জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে। এই আসনে নগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম (তুহিন)ও মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।

খুলনা–৩ ও ৪: আগের দুই মুখই
খুলনা বিএনপির রাজনীতিতে রকিবুল ইসলাম (বকুল) ও আজিজুল বারী (হেলাল) এখনো প্রভাবশালী। দুজনই আগের নির্বাচনে খুলনা–৩ ও খুলনা–৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। এবারও একই আসনে তাঁদের রাখা হয়েছে। খুলনা–৩ আসনে রকিবুল ইসলামের বিকল্প কেউ আলোচনায় ছিলেন না। খুলনা–৪ আসনে আজিজুল বারীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন পারভেজ মল্লিক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি।

২৯ বছর পর খুলনা–৫-এ বিএনপির প্রার্থী
১৯৯৬ সালের নির্বাচনের পর থেকে খুলনা–৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী দেয়নি। চারদলীয় জোট গঠনের পর আসনটি জামায়াতে ইসলামীর জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এবার ২৯ বছর পর এখানে প্রার্থী হচ্ছেন আলী আসগর লবি।

এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন জেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইবাদুল হক রুবায়েদ ও বিএনপি নেতা শফি মোহাম্মদ খান। দুজনেরই নির্বাচনী অভিজ্ঞতা নেই। আলী আসগর ২০০১ সালের উপনির্বাচনে খুলনা–২ আসন থেকে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। হাওয়া ভবনের ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ী তখন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০০৯ সালের পর রাজনীতিতে তেমন সক্রিয় না থাকলেও কয়েক মাস ধরে খুলনা–৫ আসনে প্রচার চালাচ্ছিলেন তিনি।

খুলনা–৬: নতুন মুখ মনিরুল হাসান
সবচেয়ে আলোচিত খুলনা–৬ আসনে এবার প্রার্থী হয়েছেন নতুন মুখ মনিরুল হাসান। ২০০১ সালের পর থেকে এ আসন জামায়াতে ইসলামীর প্রভাবাধীন ছিল।

এই আসনে মনোনয়নের দৌড়ে ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম, জিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক আমিরুল ইসলাম, বাসস চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদীন, পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল মজিদ এবং ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম। শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পেয়েছেন সদ্য দায়িত্ব পাওয়া জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব মনিরুল হাসান।

তাঁর নাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছুদিন ধরে আলোচনায় ছিল। গত শনিবার তাঁকে ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব করা হয়, সোমবারই কেন্দ্রীয়ভাবে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। তাঁর বাড়ি খুলনার রূপসা উপজেলায়।

মনোনয়ন না পাওয়া জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম বলেন, ‘মনোনয়ন নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না।’ মনিরুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন