[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

উড়োজাহাজ খাতে প্রতিযোগিতায় স্বচ্ছতা ও বৈষম্য বিলোপের তাগিদ ইইউ রাষ্ট্রদূতের

প্রকাশঃ
অ+ অ-
মঙ্গলবার ঢাকায় ফ্রান্স-জার্মান দূতাবাসে ‘বাংলাদেশের এভিয়েশন গ্রোথ’ শীর্ষক আলোচনায় অতিথিরা | ছবি: যুক্তরাজ্য হাইকমিশনের ফেসবুক থেকে

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যোগের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং এবং ইউরোপের এয়ারবাসের মধ্যে কয়েক বছর ধরে প্রতিযোগিতা চলছে। গত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ দিকে হঠাৎ এয়ারবাসের সঙ্গে আলোচনা এগোচ্ছিল। আর চলতি বছর পাল্টা শুল্কের দর–কষাকষি নিয়ে বোয়িং বিশেষ শর্ত হিসেবে সামনে এসেছে।

এই প্রেক্ষাপটে ঢাকায় একটি আলোচনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার উড়োজাহাজ খাতে ব্যবসায় স্বচ্ছতা, বৈষম্য দূর করা এবং সব পক্ষের সমান সুযোগ নিশ্চিত করার গুরুত্ব জানিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, অন্য অংশীদারদের তুলনায় ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে কম গুরুত্ব দেওয়া হবে না।

মঙ্গলবার ঢাকায় ফ্রান্স-জার্মান দূতাবাসে ‘বাংলাদেশের এভিয়েশন গ্রোথ’ শীর্ষক আলোচনায় মিলার এ মত দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে, জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লটজ এবং এয়ারবাসের কমার্শিয়াল সেলস ডিরেক্টর রাফায়েল গোমেজ।

মাইকেল মিলার বলেন, ‘আমি চাই এ দেশে এয়ারবাসের উপস্থিতি বিবেচনায় নেওয়া হোক। স্বচ্ছতা ও বৈষম্যহীনতার দীর্ঘদিনের আশ্বাস পূরণ করে এটিকে বিমানের বহর আধুনিকীকরণের পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বাংলাদেশের উড়োজাহাজ খাতে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও অবশ্যই বিবেচনায় রাখা উচিত।’

ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে বলেন, এয়ারবাসের প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও উদ্ভাবন বিশ্বজুড়ে এটিকে বিশ্বাসযোগ্য অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বাংলাদেশের বর্ধনশীল সংযোগ ও ভৌগোলিক অবস্থান দেশটিকে আকাশপথে আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। বিমান বাংলাদেশের বহরে এয়ারবাস যুক্ত হলে এর স্থিতিশীলতা ও প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়বে।

জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লটজ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বেড়ে চলেছে এবং মধ্যবিত্ত সম্প্রসারিত হচ্ছে। এখন বিমানের জন্য প্রয়োজন আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব উড়োজাহাজ, যেখানে এয়ারবাস শক্ত অবস্থানে আছে।

যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আকাশপথে আঞ্চলিক কেন্দ্র হওয়ার লক্ষ্য পূরণে যুক্তরাজ্য সবসময় পাশে থাকবে।

মাইকেল মিলার বলেন, ‘আমরা চাই সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে। অর্থাৎ বাংলাদেশ নিশ্চিত করবে যে ইউরোপীয় অপারেটরদের অন্যান্য বাণিজ্যিক অংশীদারদের তুলনায় কম সুবিধা দেওয়া হবে না।’

প্রসঙ্গত, বোয়িং ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ২৫টি উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে, আর এয়ারবাস দিয়েছে ১৪টি। এর মধ্যে রয়েছে ১০টি এ৩৫০ ও ৪টি এ৩২০ নিও।

ঢাকায় ‘এয়ারবাসের মিশন’

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন