[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

অবশেষে সিলেট-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী হলেন আরিফ

প্রকাশঃ
অ+ অ-
সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে অবশেষে সিলেট-৪ (গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ) আসনে প্রার্থী করছে বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে দল আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঘোষণা করবে বলে জানান আরিফুল হক নিজেই।

সাবেক মেয়র জানান, সিলেট-১ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন তিনি। গতকাল বুধবার রাতে তিনি বলেন, দলের উচ্চপর্যায় থেকে তাকে সিলেট-৪ আসনে প্রার্থী হওয়ার জন্য কয়েকবার অনুরোধ করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি রাজি হননি। পরে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তাকে সিলেট-৪ আসনে প্রার্থী হওয়ার নির্দেশ দেন। এ নির্দেশ অমান্য করার সুযোগ নেই।

গত সোমবার বিএনপি জাতীয় সংসদের ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। সিলেট জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে চারটিতে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। সিলেট-১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির। বাকি দুটি আসন, সিলেট-৪ ও সিলেট-৫ (কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ), এখনও ঘোষণা হয়নি।

সাবেক মেয়র আরিফুলের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, সিলেট-১ আসনে মনোনয়ন না পেয়ে তিনি কিছুটা হতাশ হন। এই অবস্থায় গত মঙ্গলবার তাকে ঢাকায় জরুরি তলব করা হয়। এরপর গতকাল রাত নয়টার দিকে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার বাসভবনে দেখা করার ডাক পান।

চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করার সময় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গেও ফোনে আলাপ হয়। এ সময় চেয়ারপারসন তাকে সিলেট-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার নির্দেশ দেন। বিষয়টি দ্রুত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হবে।

আরিফুল হক চৌধুরী বর্তমানে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে আছেন। এর আগে তিনি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি সিলেট জেলা বিএনপির সদস্যও। একসময় তিনি সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ছাত্রদলের প্রভাবশালী এই নেতা হিসেবেও তিনি পরিচিত।

বিএনপির মনোনয়নে আরিফুল টানা দুই মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হয়ে সিলেটে অনেক উন্নয়নকাজ করেছেন। দলমত–নির্বিশেষে সব মহলে তাঁর একটি গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দল বাইরের ভোটাররা তাঁকে অংশ নেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। তবে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হননি।

আরিফুল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘চেয়ারপারসন আমাদের জাতীয় মুরব্বি। তাঁর নির্দেশে আমি সিলেট-৪ আসনে নির্বাচন করতে সম্মত হয়েছি। দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। সিলেট-৪ আসনের মানুষের ভালোবাসা নিয়েই আমি নির্বাচনী মাঠে নামব। দলের প্রয়োজনে আমি বারবার নির্দেশ পালন করে আসছি। এখনো সিলেট-৪ আসনে নির্বাচন করার আদেশ মাথা পেতে মেনে নিয়েছি।’ 

স্থানীয় বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, সিলেট-৪ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন অনেকেই। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপির দুবারের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম চৌধুরী, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা হেলাল উদ্দিন আহমদ, সাবেক সংসদ সদস্য দিলদার হোসেন সেলিমের স্ত্রী জেবুন্নাহার সেলিম, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সহস্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক সামসুজ্জামান জামান।

আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে মাঠে কাজ করছেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন। জৈন্তাপুর উপজেলার সাবেক এই চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবেও শক্তিশালী। 

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন