[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

সরকার যেভাবে পুলিশ কমিশন করতে চাইছে, তাতে সরকারের নিয়ন্ত্রণের ঝুঁকি থাকবে

প্রকাশঃ
অ+ অ-
 ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রস্তাবিত ‘পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ’–এর খসড়া ঢেলে সাজানোর আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটি আশঙ্কা করছে, নাহলে কমিশনের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণের ঝুঁকি থাকতে পারে।

বুধবার এক বিবৃতিতে টিআইবি এ আহ্বান জানিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এখনও খসড়া প্রকাশিত না হলেও, নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রাপ্ত খসড়ার ভিত্তিতে এই মন্তব্য করা হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করতে যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছেন, পুলিশ কমিশন হবে।

এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল টিআইবি। এবার পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ নিয়েও তাদের একই ধরনের প্রতিক্রিয়া এসেছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সাতজনের কমিশনে একজন অবসরপ্রাপ্ত আমলা ও দুজন পুলিশ সদস্য থাকায় এটি সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থায় পরিণত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করছে।

টিআইবি সুপারিশ করেছে, কমিশনে সাবেক বা বর্তমান আমলা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সদস্য করা না করে বিচার, আইন, মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ক নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক বা গবেষক অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

কমিশনের স্বাধীনতা ও কার্যকারিতার জন্য জনবল নিয়োগে সরকারের অনুমোদনের বিধান বাতিল করে তা সম্পূর্ণভাবে কমিশনের হাতে রাখা, প্রেষণে নিয়োগে সরকারের নয়, কমিশনের সুপারিশ ও অনুমোদনের বিধান রাখতে হবে। এই ক্ষেত্রে কমিশনের অভিমত প্রাধান্য পাবে।

কমিশনারের নিয়োগে দলনিরপেক্ষতা, মানবাধিকার রক্ষা, সততা ও শুদ্ধাচার চর্চা গুরুত্বপূর্ণ। অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে সদস্যসচিব নিয়োগের বিধান বাতিল করে সচিবসহ সব জনবল উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নিয়োগের ক্ষমতা কমিশনের হাতে রাখতে হবে। সচিবের পদমর্যাদা ও বেতন-ভাতা সরকারের সচিবের সমান হবে।

টিআইবি পরামর্শ দিয়েছে, সচিব কমিশনের শীর্ষ কর্মকর্তার দায়িত্বের পাশাপাশি নন-ভোটিং সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন। বাছাই কমিটিতে মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অভিজ্ঞ একজন নাগরিক অন্তর্ভুক্ত করার বিষয় সুস্পষ্ট করা প্রয়োজন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কমিশনকে পুলিশি কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা, গোয়েন্দা ও নজরদারি সংস্থার পেশাগত উৎকর্ষ ও কার্যপরিধি স্পষ্ট করার, মানবাধিকার সংরক্ষণে আইন, বিধি ও নীতি প্রণয়ন বা সংস্কারে সুপারিশ প্রদানের ক্ষমতা দিতে হবে। কমিশন প্রতিষ্ঠার সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে খসড়া পুলিশ আইন, ২০০৭–এর ইতিবাচক বিষয় বিবেচনায় রেখে নতুন পুলিশ আইনের খসড়া প্রণয়ন ও পাস করানোর জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করতে হবে।

এছাড়া কমিশনের আর্থিক স্বাধীনতা ও স্বচ্ছতার জন্য সরকারের বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে এবং কমিশনের বার্ষিক নিরীক্ষিত ব্যয়বিবরণী সাত কার্যদিবসের মধ্যে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন