[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

মিত্র দলগুলোর প্রার্থী তালিকা যাচাই করছে বিএনপি

প্রকাশঃ
অ+ অ-
বিএনপির লোগো

ভোটে জয়ী হলে ফ্যাসিবাদবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের অংশীদারদের নিয়ে ‘জাতীয় সরকার’ গঠনের ঘোষণা আগেই দিয়েছিল বিএনপি। এখন সেই লক্ষ্য সামনে রেখে দলটি আগামী জাতীয় নির্বাচনে মিত্রদের প্রার্থী মনোনয়নের দিকে নজর দিচ্ছে। ইতিমধ্যে বিএনপি যুগপৎ আন্দোলনের দুটি শরিক জোট ও পাঁচটি দলের কাছ থেকে ১০৬ জন প্রার্থীর তালিকা পেয়েছে। বাকি আছে বামপন্থী ছয়দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। যদিও তারা ইতিমধ্যে ১৩৮টি আসনে জোটের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে।

গণতন্ত্র মঞ্চ ঘোষিত ওই ১৩৮ জন প্রার্থীর নাম মিলিয়ে বিএনপির কাছে যুগপৎ আন্দোলনের অংশীদারদের চাওয়া আসনসংখ্যা দাঁড়ায় ২৪৪। এছাড়া কিছু দল রয়ে গেছে, যাদের সঙ্গে বিএনপির নির্বাচনী বোঝাপড়া চলছে, যা এ হিসাবের মধ্যে নেই।

দল ও গণতন্ত্র মঞ্চের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, শিগগিরই গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক হবে। সেখানে নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয় ও আসন সমঝোতা নিয়েও আলোচনা হবে।

গণতন্ত্র মঞ্চ ঘোষিত ওই ১৩৮ জন প্রার্থীর নাম এ হিসাবে যুক্ত করলে বিএনপির কাছে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের চাওয়া আসনসংখ্যা হয় ২৪৪। এর বাইরেও কয়েকটি দল রয়ে গেছে, যেগুলোর সঙ্গে বিএনপির নির্বাচনী বোঝাপড়া চলছে, যা এ হিসাবে নেই।

প্রার্থী বাছাই বা মনোনয়নপ্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, এবারের নির্বাচনের জন্য তারা একটি সমন্বিত ও ভারসাম্যমূলক প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে চান। এতে সমাজের সব মহলের প্রতিনিধিত্ব থাকবে এবং মানুষ ওই প্রার্থীদের ওপর আস্থা রাখতে পারবে। সেটা বিএনপির নিজস্ব প্রার্থী হোক বা সমমনা ও শরিক জোটের প্রার্থী হোক।

দায়িত্বশীল নেতারা বলেন, এবারের নির্বাচনের প্রেক্ষাপট আগেরবারের থেকে ভিন্ন। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে বিএনপির বিপরীতে জামায়াতে ইসলামীসহ ইসলামপন্থী কিছু গোষ্ঠীর তৎপরতা পরিস্থিতি বদলে দিচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর প্রার্থীদের জেতানো চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়তে পারে। তাই শরিকদের মনোনয়নের ক্ষেত্রে বিএনপিকে অনেক হিসাব-নিকাশ করতে হচ্ছে।

অবশ্য একাধিক দলের নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছোট দলগুলোর অনেকেই প্রত্যাশার চেয়ে বেশি আসনের তালিকা দিয়েছে, বেশিরভাগই কৌশলগত কারণে। এতে দলের নেতাদের খুশি রাখা যায়। মনোনয়ন পাই বা না পাই, দল থেকে নামের তালিকা না পাঠালে অনেক নেতা রেগে যান এবং এতে দলে সমস্যা তৈরি হয়। বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, এবারের নির্বাচনের প্রেক্ষাপট অন্যবারের চেয়ে ভিন্ন চরিত্রের। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অবর্তমানে বিএনপির বিপরীতে জামায়াতে ইসলামীসহ ইসলামপন্থী একটি অংশের তৎপরতা পরিস্থিতি বদলে দিচ্ছে।

বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, এবারের নির্বাচনের প্রেক্ষাপট অন্যবারের চেয়ে ভিন্ন চরিত্রের। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অবর্তমানে বিএনপির বিপরীতে জামায়াতে ইসলামীসহ ইসলামপন্থী একটি অংশের তৎপরতা পরিস্থিতি বদলে দিচ্ছে।

বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনের দুটি শরিক জোট বিএনপির কাছে ৩০ জন প্রার্থীর তালিকা দিয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বাধীন ১২-দলীয় জোট ২১টি এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ৯টি আসনের তালিকা দিয়েছে। এছাড়া অলি আহমদের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ৪০টি, আন্দালিব রহমান পার্থের বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ৫টি, সুব্রত চৌধুরীর গণফোরাম ১৫টি, মোস্তাফিজুর রহমানের বাংলাদেশ লেবার পার্টি ৬টি এবং ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) ১০টি আসনে মনোনয়ন চেয়ে তালিকা জমা দিয়েছে।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়া শরিক দলগুলো তাদের প্রার্থী তালিকা আমাদের দিয়েছে। এখন আমরা এলাকায় জরিপ করে দেখছি, কাদের মনোনয়ন দিলে তারা জিতে আসতে পারবেন।’

প্রায় এক বছর আগে, গত বছরের অক্টোবরে ‘অতীব জরুরি’ শিরোনামে বিএনপি স্থানীয় নেতাদের একটি চিঠি দিয়েছিল। তাতে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর ছয়জন নেতাকে এলাকায় জনসংযোগ ও সাংগঠনিক কাজের জন্য সহযোগিতা করতে বলা হয়েছিল।

এক বছরের পরও সেই ছয় নেতার মনোনয়ন এখনো দলীয়ভাবে নিশ্চিত করা হয়নি। তবে ব্যক্তিগতভাবে কিছু নেতাকে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে মনোনয়নের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। 

গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়া শরিক দলগুলো তাদের প্রার্থী তালিকা আমাদের দিয়েছে। এখন আমরা এলাকায় জরিপ করে দেখছি কাদের মনোনয়ন দিলে তাঁরা জিতে আসতে পারবেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ
এক বছর আগে চিঠি দেওয়া ছয় নেতা হলেন—জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এবং বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা।

এদের মধ্যে আ স ম রব লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে (রামগতি-কমলনগর), মাহমুদুর রহমান মান্না বগুড়া-৪ (শিবগঞ্জ), জোনায়েদ সাকি ঢাকা-১২ অথবা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬, নুরুল হক নুর পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা), রাশেদ খান ঝিনাইদহ-২ (সদর ও হরিণাকুণ্ডু) এবং এহসানুল হুদা কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে নির্বাচন করতে চান।

আমরা দীর্ঘদিন বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করেছি। সেখানে জাতীয় সরকারের একটা ব্যাপার আছে। আমরা এখনো বিএনপিকে কোনো তালিকা দিইনি। শিগগিরই আমাদের বসা হবে, তখন এ বিষয়ে আলোচনা হবে

— গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান

এই চিঠি প্রকাশের পর নির্বাচনী এলাকাগুলোতে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। নুরুল হক তাঁর নির্বাচনী এলাকা পটুয়াখালীতে গিয়ে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের হাতে হেনস্তার শিকার হন। এর পর প্রতিটি জেলায় পৃথক চিঠি দেওয়া হয়, যাতে সমমনা দলের শীর্ষ নেতারা সাংগঠনিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন। তবে নুরুল হকের গণ অধিকার পরিষদ বিএনপির সঙ্গে আছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

সূত্র জানায়, নির্বাচনী এলাকায় বারবার হেনস্তার শিকার হয়ে নুরুল হক বিরক্ত। সম্প্রতি তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে মারধরের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গণ অধিকার পরিষদ এখনও বিএনপিকে কোনো প্রার্থী তালিকা দেয়নি।

গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করেছি। সেখানে জাতীয় সরকারের একটা ব্যাপার আছে। আমরা এখনও কোনো তালিকা দিইনি। শিগগিরই বসে এ বিষয়ে আলোচনা হবে।’

তবে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী নির্বাচনে ওই ছয় নেতাকে সমর্থন ও সহযোগিতা দেওয়ার বিষয়ে দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত আছে।

কেন্দ্রীয় নেতারা ঢাকায় নির্বাচন করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কিন্তু ঢাকায় নির্বাচন করতে যে টাকা লাগে, তা তো আমার নেই। আবার এলাকায় নির্বাচন করতে গেলে যে জটিলতা, সেটাও আছে।

—নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না

বিএনপির শীর্ষ নেতাদের তথ্য অনুযায়ী, যুগপৎ আন্দোলনের মিত্র দলগুলোর অনেক নেতাই মনোনয়নের ক্ষেত্রে বিবেচনায় রয়েছেন। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার জন্য বিএনপি ঢাকা-১৮ আসন ভাবছে। তবে মান্না নিজ এলাকা বগুড়া-২ আসনে নির্বাচন করতে আগ্রহী।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতারা ঢাকায় নির্বাচন করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কিন্তু ঢাকায় নির্বাচনের জন্য যে খরচ লাগে, তা আমার নেই। আবার এলাকায় নির্বাচন করতে গেলে যে জটিলতা, সেটাও আছে।’

জানা গেছে, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬, এবং বিএনপির নেতা আন্দালিব রহমান পার্থের জন্য ঢাকা-১৭ আসনের কথা ভাবছে দলটি।

এ ছাড়া এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদকে কুমিল্লা-৭, অলি আহমদের ছেলে ও দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ওমর ফারুককে চট্টগ্রাম-১৪, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হককে ঢাকা-৮, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিমকে লক্ষ্মীপুর-১, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজকে ঢাকা-১৩, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারকে পিরোজপুর-১, মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকনকে কুষ্টিয়া-২ এবং এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদকে নড়াইল-২ আসনে প্রার্থী করা হতে পারে বলে বিএনপি ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।

জানা গেছে, আন্দালিব রহমান পার্থ ভোলা-১ আসনে নির্বাচন করতে আগ্রহী। এছাড়া ঢাকা-৮ আসনে পোস্টার লাগানোসহ নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ফলে সাইফুল হক ঢাকা-৮ আসন পাবেন কি না, তা এখন অনিশ্চয়তা রয়েছে।

বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল নেতা জানান, এখনও নির্বাচনের জন্য মেরুকরণ শুরু হয়নি। তাই কে কার সঙ্গে সমঝোতায় যাবে, তা পরিষ্কার নয়। আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। বিশেষ করে তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং মাওলানা মামুনুল হকের দল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কোন দিকে যাবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এনসিপি সঙ্গে এলে তাদের কিভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং কিভাবে জিতিয়ে আনা যাবে, সে বিষয়ে বিএনপির নেতারা ভাবছেন।

মাওলানা মামুনুল হকের বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসকে এখনো জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত নয় বলে মনে করছেন বিএনপির নেতারা। তাদের পাশে পেলে জোটে অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভাবছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা।

তবে মামুনুল হক বলেছেন, ‘বিএনপি এমন কোনো প্রস্তাব নিয়ে আসেনি, যা নিয়ে আমরা আলোচনা করতে পারি।’ 

বিএনপি ইসলামী দলগুলোর মধ্যে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে নির্বাচনে পাশে পাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত দুই দলের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কোনো নির্বাচনী সমঝোতা হয়নি। ১৮ অক্টোবর জমিয়তের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা আছে। ওই সভার পর তারা বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী জানিয়েছেন।

বিএনপির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ধারণা করা যাচ্ছে, এখন পর্যন্ত মনোনয়নের জন্য জমিয়তের তিন-চারজন নেতাকে বিবেচনায় রাখা হচ্ছে। তাদের মধ্যে আছেন সংগঠনের আমির মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক (সিলেট-৫), মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী (নীলফামারী-১), কেন্দ্রীয় নেতা জুনায়েদ আল হাবিব (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২) ও মনির হোসেন কাসেমী (নারায়ণগঞ্জ-৪)।

মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, এই চারটি আসন ছাড়াও সিলেট-৪ সহ আরও কয়েকটি আসনে তাদের জয়ী হওয়ার মতো প্রার্থী আছে। তারা মোট ১৫০ জনের প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত করেছেন।

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরিকদের ৫৮টি আসন দিয়ে আসন ছাড় দেয় বিএনপি। এর মধ্যে ২২টি আসন জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া হয়েছিল। এবারের নির্বাচনে বিএনপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মনে করা হচ্ছে জামায়াতকে। এই প্রেক্ষাপটে বিএনপি বিগত যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ও সমমনা দলগুলোর আসন ছাড়ের হিসাব করছে। 

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন