কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক, কর্মস্থলে ফেরার আহ্বান প্রশাসনের
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল ও শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ড সচল রাখতে আজ মঙ্গলবার দুপুরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রশাসন। বৈঠকে তাঁদের কর্মস্থলে ফেরার আহ্বান জানানো হয়।
বৈঠক শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের সবার। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ সবকিছুর ঊর্ধ্বে থাকা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় যেন সচল থাকে, সে জন্য আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কর্মস্থলে ফেরার আহ্বান জানানো হয়। তাঁরা প্রাথমিকভাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। তাঁরা তাঁদের কমিটির সঙ্গে বসে আমাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন।’
অফিসার্স সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, ‘সহ-উপাচার্য মাঈন উদ্দীন স্যার আলোচনায় বসেছিলেন। প্রশাসন কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে। আমরা সমিতিতে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত জানাব।’
সভায় সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খানসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাতিল হওয়া পোষ্য কোটা ১০ শর্তে ফিরিয়ে আনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। একপর্যায়ে গত শনিবার জুবেরী ভবনে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধস্তাধস্তি হয়। এ ঘটনার পর রোববার জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম ও কর্মকর্তারা পোষ্য কোটা পুনর্বহাল ও শিক্ষক লাঞ্ছনাকারীদের শাস্তির দাবিতে এক দিনের কর্মবিরতি পালন করেন। পরদিন সোমবার থেকে তাঁরা অনির্দিষ্টকালের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি শুরু করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি বিবেচনায় গতকাল সোমবার বিকেল চারটায় কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশন জরুরি বৈঠক করে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উৎসবমুখর, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে ২৫ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে আগামী ১৬ অক্টোবর রাকসু নির্বাচনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন